desh-protikhon-logo-websiteদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি কেডিএস এ্যাক্সেসরিজের উদ্যোক্তা পরিচালকদের ৩ বছরের লক-ইন থাকা ৪ কোটি শেয়ারের লক-ইন ফ্রি হয়েছে রোববার থেকে। তবে (সুবিধাভোগী ব্যবসা নিষিদ্ধকরণ) বিধিমালা ১৯৯৫-এর বিধি-৪-এর উপবিধি ২ এবং সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯-এর সেকশন ১২ পরিপালনে এই লন-ইন ফ্রি শেয়ার বিক্রি করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও লকেইন শেয়ার বিক্রির পাঁয়তারা করছে বলে উদ্যোক্তা পরিচালকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (সুবিধাভোগী ব্যবসা নিষিদ্ধকরণ) বিধিমালা ১৯৯৫-এর বিধি-৪-এর উপবিধি ২ অনুসারে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানির কোন উদ্যোক্তা, পরিচালক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী, নিরীক্ষক বা নিরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, পরামর্শক বা আইন উপদেষ্টা কিংবা সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯-এর সেকশন ১২ তে উল্লেখিত সুবিধাভোগী উক্ত কোম্পানির বার্ষিক হিসাব সমাপ্ত হওয়ার ২ মাস আগে থেকে কোম্পানির পর্ষদ কর্তৃক বার্ষিক হিসাব চূড়ান্ত অনুমোদনের তারিখ পর্যন্ত কোন শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় কিংবা অন্য কোনভাবে স্থানান্তর বা গ্রহণ করতে পারবে না। সেই হিসাবে কোম্পানিটির ৪ কোটি শেয়ারের লক-ইন ফ্রি হলেও তাঁরা সেই শেয়ার বর্তমান অবস্থায় বিক্রি করতে পারবেন না।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৭ মে কেডিএস এ্যাক্সেসরিজের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে ১ কোটি ২০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ২৪ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। কোম্পানিটিকে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সঙ্গে ১০ টাকা প্রিমিয়ামসহ ২০ টাকা মূল্যে শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন দেয় কমিশন।

কোম্পানিটি ওই বছরের ৮ জুলাই বিএসইসি থেকে আইপিওর সম্মতিপত্র গ্রহণ করে। আর ১৪ জুলাই প্রসপেক্টাস ইস্যু করে। সেই হিসেবে গত শনিবার কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের ৩ বছরের লক-ইন থাকা শেয়ার ফ্রি হয়েছে। তবে ইতোমধ্যে হিসাব বছর শেষ হয়েছে, যার নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন / মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ পায়নি।

আর লক-ইন ফ্রি শেয়ার বিক্রি করা কিংবা না করা উদ্যোক্তা পরিচালকদের অনুমোদন বা সিদ্ধান্তের বিষয়। আবার এই শেয়ার বিক্রি করতে হলে স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে ঘোষণা করতে হয়। কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকে রিস্টেটেড শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৬ পয়সা।

এর আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৫৮ পয়সা। আর ৯ মাসে (জুলাই, ১৭-মার্চ, ১৮) কোম্পানিটির রিস্টেটেড ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৮৬ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৮৪ পয়সা। ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ২৪ টাকা ৪৮ পয়সা।

কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৭৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ শেয়ার আর ১৪ দশমিক ০৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।