sadiq-575x323জয়নাল আবেদিন ও মহসিন সুজন, দেশ প্রতিক্ষণ, বরিশাল: বরিশালের রাজনীতির মাঠে বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী হাওয়া। আর মাত্র তিন দিন পরেই বরিশালে নির্বাচন। নির্বাচনে মাঠ জরিপে এগিয়ে রয়েছেন আ’লীগের প্রার্থী সাদিক আবদুল্লাহ। চায়ের দোকানসহ বিভিন্ন আড্ডায়, অফিসে কিংবা বাড়িতে সবখানেই এখন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু কে হতে চলেছেন বরিশালের সিটির মেয়র।

নির্বাচন কমিশনের দেয়া তথ্য মতে এবারের জাতীয় নির্বাচনের আগেই দেয়া হচ্ছে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। নগরবাসীর সব ধরণের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করে থাকে এই সিটি কর্পোরেশন। যা সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার দায়িত্ব থাকে সিটি মেয়রা।যার কারনে বরিশালের নগরপিতা আ’লীগের জন্য মুর্খ বিষয়। তবে বিসিসি নির্বাচনে তিন ইস্যুতে এগিয়ে রয়েছেন সাদিক আবদুল্লাহ। ব্যক্তিগত ইমেজের কারনে নগরবাসীর কাছে তিনি প্রানের সাদিক হিসেবে পরিচিতি। তেমনি তরুনরা তাকে যুবরত্ন হিসেবে উপাধি দিয়েছেন।

তেমনি সাদিক আবদুল্লাহ শুধু একজন নেতা নয়, তিনি সত্যিকার অর্থে একজন চেইঞ্জ মেকার। একটি দেশের সার্বিক ও সুষম উন্নয়ন তখনই ঘটে যখন দেশের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অঞ্চলের উন্নয়নে উদ্ভাবনী উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়।

স্থানীয় সরকারের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিটি কর্পোরেশন সেই কাজ সঠিকভাবে করতে সক্ষম হবে বলে আমরা মনে করি। আসছে আগামী ৩০ জুলাই বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের আ’লীগের মনোনীত মেয়র প্রাথী সাদিক আবদুল্লাহ ‘‘আমরাই গরবো আগামীর বরিশাল”স্লোগানে বরিশালবাসীর হৃদয়ে স্বপ্নের জাল বুনে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। সাদিক আবদুল্লাহ অন্য সকল সিটির মেয়র প্রার্থীদের থেকে একটু ব্যাপক পরিসরে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন।

নগরভবন ঠিকানা না হলেও বর্তমানে মহানগরীর মানুষ এখন তাকে ‘মেয়র’বলেই সম্বোধন করে। সুখে-দুঃখে, আপদে-বিপদে ছুটে যায় তার কাছে। সাদিকও নিরাশ করেন না বিপদে পড়া তার প্রিয় নগরবাসীকে। ২০১৩ সালের সিটি নির্বাচনে মরহুম শওকত হোসেন হিরনের পরাজয়কে সাদিক আব্দুল্লাহ একটি অভিজ্ঞতা হিসেবেই নিয়েছেন। মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর এখন দিনভর কাটে সাধারণ মানুষকে নিয়ে।

সাদিক মনে করেন, আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। আমার দাদা, বাবা সবাই বরিশালের মাটিতে রাজনীতি করেছে। আমিও তাদের বাইরে নই। আমি কোন কুট রাজনীতি বুঝি না। ওই রাজনীতি করতেও চাই না। দেশ ও বরিশালের উন্নয়নের জন্য কোন কাজই আমি ভয় পাই না। আমি জনগনের মাঝেই থাকতে চাই। জনগনের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা নিয়েই রাজনীতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। মানুষের ভালোবাসাকে জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন মেনে নিয়ে বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে চাই  সিটির মানুষের কল্যাণে, দলের কল্যাণে।

সাদিক আবদুল্লাহ’র বাবা আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ দক্ষিণাঞ্চলের আওয়ামী রাজনীতির কর্ণধার। শুধু আওয়ামী লীগের কর্ণধার বললে কিছুটা ভুল হবে। তিনি দক্ষিণাঞ্চলের রাজনৈতিক অভিভাবক। সকল দলের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা ভরে দেখেন তাকে। তার বাবা শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ছিলেন গরীব মেহনতি মানুষের নেতা।

তবে এ শহীদ নেতা ‘নেতার’ মতো আচরন করেন নি কখনো। খেটে খাওয়া মানুষের প্রাণের বন্ধু ছিলেন আব্দুর রব সেরনিয়াবাত। তারই সুযোগ্য পুত্র আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ। যার হাত ধরে-ই বিশৃঙ্খল বরিশালে ফিরেছে শৃঙ্খলা, বিরাজ করছে শান্তি। দক্ষিণাঞ্চলের এই রাজনৈতিক অভিভাবকের উত্তরসূরী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। খুব স্বল্প সময়ে সকল বয়সী মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন এই তরুন নেতা।

সাদেক আব্দুল্লাহ’র মাঝেই নগর পিতার নেতৃত্ব খুঁজে পাচ্ছেন প্রবীণ নেতারা। তৃর্নমুল নেতাকর্মীদের মতে, ‘সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ মাঝেই দেখা যায় শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের প্রতিচ্ছবি, আর যার শরীরে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর মতো মহান নেতার রক্ত তার চেয়ে কে ভালবাসতে পারবে আ’লীগকে। যা আরো একবার প্রমান হলো বরিশালে শান্তি প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে। তরুন এ নেতার প্রশংসার পঞ্চমুখ ছিলেন বরিশাল জেলা ও মহানগর আ’লীগের সিনিয়র নেতারাও।

কারন তার অক্লান্ত পরিশ্রমে বরিশাল নগরী পরিণত হয়েছে আনন্দের নগরী। বরিশাল মহানগর আ’লীগ নেতা সাদিক আব্দুল্লাহর সুষ্ঠু নেতৃত্বে সুন্দর ও শান্তি ফিরেছে বরিশালে। তার ডাকে বরিশাল মহানগরের ও ওয়ার্ড আ’লীগ এবং ১০ উপজেলাসহ সকল নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে ওঠে। প্রতিটি এলাকায় তার নেতৃত্ব ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু বরিশাল নয় বরিশালের অজপাড়া গায় একটি নাম উচ্চারিত হচ্ছে তা হলে সাদিক আবদুল্লাহ।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে সমর্থন জানিয়ে তার পক্ষে নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন পেশাজীবী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরাও। কিন্তু বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারের পক্ষে দলীয় নেতাকর্মীরা ছাড়া অন্যদের তেমন কোনো তৎপরতা চোখে পড়ছে না।

যদিও সরোয়ারের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস আক্তার জাহান শিরিনের দাবি, জাতীয়তাবাদী চেতনার পেশাজীবী ও সামাজিক সংগঠনগুলো ধানের শীষের পক্ষে রয়েছেন। তারা বিভিন্ন কৌশলে সরোয়ারের পক্ষে নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।

তবে রাজনীতি সচেতন স্থানীয় মহলের অভিমত, আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার শুরু হওয়ার পর সাদিকের পক্ষে পেশাজীবী এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরা যেভাবে তৎপরতা চালাচ্ছেন সে তুলনায় বিএনপির প্রার্থী অনেকটা পিছিয়ে রয়েছেন। বিএনপি ঘরানার বিভিন্ন সংগঠন সরোয়ারের প্রতি সমর্থন ও সংহতি জানালেও প্রকাশ্য প্রচারণায় তাদের সম্পৃক্ততা খুব বেশি চোখে পড়ছে না।

অবশ্য বিএনপি সমর্থিত পেশাজীবীদের একটি সংগঠনের একজন নেতা সমকালকে জানান, দল ক্ষমতায় না থাকায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সংগঠনকে প্রকাশ্যে মাঠে না নামানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে পরিকল্পনা অনুযায়ী ধানের শীষের পক্ষে কার্যক্রম চালাচ্ছেন তারা।

সাদিক আবদুল্লাহর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির গণমাধ্যম বিষয়ক মুখপাত্র এবং নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণকে বলেন, আধুনিক, উন্নত, বাসযোগ্য নগরী গড়ার স্বার্থে পেশাজীবী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রায় অর্ধশত সংগঠন নৌকার পক্ষে প্রচারে নেমেছেন।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি-বরিশাল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আসাদুল আলম আসাদ জানান, ১৬ জুলাই শিক্ষক ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় সাদিক আবদুল্লাহর পক্ষে নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিক্ষকরা। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নগরীর কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন করতে পারবেন বলে বিশ্বাস করেন তারা। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোকলেসুর রহমানের দাবি, নগরীর দুই-তৃতীয়াংশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারও সাদিকের পক্ষে তৎপরতা চালাচ্ছেন। বরিশালের ২৭টি সংগঠন নিয়ে গঠিত

‘সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদে’র সহসভাপতি নাজমুল হোসেন আকাশ জানান, টিম গঠন করে নৌকা প্রতীকের পক্ষে প্রচারে অংশ নিচ্ছেন তারা। মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুরঞ্জিত দত্ত জানান, জেলা ও মহানগর হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য এবং পূজা উদযাপন পরিষদ শুরু থেকেই সাদিক আবদুল্লাহর পক্ষে বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

নগর শ্রমিক লীগের সাধারন সম্পাদক পরিমল দাস জানান, ব্যাংক-বীমাসহ অন্যান্য বিভিন্ন কর্মচারী ইউনিয়নের কর্মীদের পাশাপাশি টেম্পো-মাহিন্দ্রা শ্রমিক ইউনিয়ন, জেলা সড়ক পরিবহন  শ্রমিক ইউনিয়ন, ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন, কারিকর বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নসহ ডজনখানেক শ্রমজীবী সংগঠনের নেতারা প্রতিদিন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন।

মৎস্য শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি খান হাবিবুর রহমান ও ঘাট শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জালাল জমাদ্দার, বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোদাচ্ছের আলী ও টেকনোলাজি অ্যাসোসিয়েশেনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও হোটেল-রেস্তোরাঁ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. সাঈদ জানান, সব সময় সাদিক তাদের পাশে ছিলেন। তাই নির্বাচনে তার পক্ষে কাজ করছেন সবাই।

বরিশাল চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, নগরীর প্রায় সব ব্যবসায়ী সংগঠন এবং উইমেন বিজনেস ফোরামের সদস্যরাও আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়ে কাজ করছেন।

এদিকে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে নিয়ে হঠাৎ চিন্তিত হয়ে পড়ছে বিএনপি। বর্তমান সময়ে বরিশাল মহানগর সহ সমগ্র দক্ষিনাঞ্চলে জনপ্রিয় ও আলোচিত একটি নাম সাদিক আব্দুল্লাহ। বরিশালের প্রয়াত মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা শওকত হোসেন হিরনের মতোই সাদিককে শক্তিশালী প্রার্থী বলে মনে করছেন তারা। আর সে কারণেই কেন্দ্রীয় তথা বরিশাল বিএনপিতে বাড়ছে দুর্ভাবনা।

৭৫ পরবর্তী নির্বাচনগুলোতে বরিশালে বিএনপি ভালো করলেও ২০০৮ সালের মেয়র নির্বাচনে বিএনপির মধ্যে বিভক্তি, দলের একাধিক প্রার্থী আর এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে ভোট ভাগাভাগির সুযোগে জিতে যায় আওয়ামী লীগ।

অন্যদিকে মেয়র হীরনের নির্বাচনে জয়ের পর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং সাংগঠনিক কাজ বাড়ানোর ফলে বরিশালে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা অনেক বেড়ে যায়। তার উত্তসূরী হিসেবে হীরনের মৃত্যুর পর বরিশাল আওয়ামী লীগকে গোছানোর কাজটি সবচেয়ে বেশি করেছেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকটাত্মীয় সাদিক। অতিঅল্প সময়ে নিজের আন্তরিক আচার আচরন দিয়ে শুধু দলিয় কর্মী-সমর্থক নয় সাধারন মানুষেরও আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন তিনি।

যে কেউ কোন বিষয়ে তার শরনাপন্ন হলে, আন্তরিক ভাবে তার কথা শোনেন এবং তাৎক্ষনিক ব্যাবস্থা গ্রহন করেন। সেই হিসেবেও সাদিকের জনসমর্থনে একটি উল্লেখযোগ্য গ্রহণযোগ্যতা ও প্রভাব বরিশালে রয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির মেয়র আহসান হাবিব কামালের মেয়াদে তার কর্মকাণ্ড নিয়ে সন্তুষ্ট নয় খোদ বিএনপি। নগরবাসীর মধ্যেও অসন্তোষ স্পষ্ট।

এ যাবৎকালে বিএনপি সমর্থিত মেয়র বরিশাল সিটি করপোরেশনের উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখতে পারেনি। ফলে আগে থেকেই একটি চাপা অজনপ্রিয়তার রেষে পড়ে আছে বিএনপি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মহানগর বিএনপির একজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘সাদিককে নিয়ে আমাদের মধ্যে দুশ্চিন্তা রয়েছে তা অস্বীকার করছি না। নতুন প্রার্থী হলেও তার জনপ্রিয়তা নতুন নয়। নিরপেক্ষ কথা বলতে গেলে সাদিক বিএনপির জন্য প্রেশার। তবে সবকিছু মিলে আমরাও আশাবাদী। এখন বাদ বাকি নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যাবে।’

বরিশালের সাধারণ ভোটাররা বলছেন, বরিশালের জন্য দরকার তরুণ নেতৃত্ব। আর তরুণ নেতৃত্ব ছাড়া বরিশালের উন্নয়ন সম্ভব নয়। অন্যদিকে বিএনপির মেয়র ক্ষমতায় থাকলে কী হয়, সেটি নগরবাসী গত পাঁচ বছর দেখেছে। সুতরাং আগের পাঁচ বছর আওয়ামী লীগের মেয়রের কাজও মূল্যায়ন করবে জনগণ। জনগণ দল দেখতে চায় না, চায় উন্নয়ন।