icb-logoদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) টিপু সুলতান ফারাজি, সহকারী ব্যবস্থাপক এহিয়া মণ্ডল ও বেসরকারি আইএফআইসি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মো. আবদুস সামাদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার তিনজনকে আদালতে হাজির করা হলে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক সত্যব্রত শিকদার তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

দুদক সূত্রে জানা যায়, পুঁজিবাজারে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আইসিবির আরও কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দুদকের নজরদারিতে রয়েছে। এদের মধ্যে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রয়েছেন।

গ্রেপ্তারকৃত কর্মকর্তাদের বিষয়ে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, বৃহস্পতিবার আইসিবি সিকিউরিটিজ টেডিং কোম্পানি লিমিটেডের (আইএসটিসিএল) ৩ কোটি ৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ছয়জনের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়। মামলা নম্বর ৪৪।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান। গ্রেফতার তিনজন এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। অন্য তিন আসামির মধ্যে রয়েছে: আইসিবির সহকারী ব্যবস্থাপক মো. সামছুল আলম আকন্দ, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার ধনঞ্জয় কুমার মজুমদার ও সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. শরিকুল আনাম।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, মামলা করার কয়েক মিনিটের মধ্যে এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তাদের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রতারণার মাধ্যমে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করে আইএসটিসিএলের ৩ কোটি ৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯০৭ টাকা আত্মসাত করে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতি করেছেন। ২০০৯, ২০১০ ও ২০১১ সালে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে এ ছয় আসামি দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ও ১০৯ এবং দুদক আইনের ৫(২) ধারায় বর্ণিত অপরাধ করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০০৯, ২০১০ ও ২০১১ সালের শুরুর দিকে আইএসটিসিএলে জামানত ছাড়াই নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত মার্জিন ঋণ বিতরণসহ আরো কিছু অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এ সময় ২৩৮ কোটি টাকার অনিয়ম হয়েছে বলে দুদকের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।

এর মধ্যে তত্কালীন আইএসটিসিএলের উপপ্রধানের দায়িত্বে থাকা টিপু সুলতান ফারাজিসহ এজাহারভুক্ত পাঁচ কর্মকর্তা এসব অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।