textile sector deshprotikhonদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: দেশের দুই পুঁজিবাজার ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই ও সিএসই) সপ্তাহের পঞ্চম ও শেষ কার্যদিবসটিতে সূচকের মিশ্র প্রবণতায় লেনদেন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) দিনভর সূচক ওঠা-নামা শেষে ডিএসইতে সূচক নেমেছে দুই পয়েন্ট। আর সিএসইতে উঠেছে তিন পয়েন্ট। ডিএসইতে সূচকের পাশাপশি কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দামও।

তাই মঙ্গল ও বুধবারকে (২৮ ও ২৯ আগস্ট) বৃহস্পতিবারের সঙ্গে যোগ করে টানা তিনদিন দরপতনের মধ্য দিয়েই দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হলো। তবে দিনটিতে ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারের দাম কমলেও বেড়েছে বস্ত্র খাতে।

খাতটিতে তালিকাভুক্ত ৫০টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০টির, কমেছে সাতটির আর অপরিবর্তিত তিনটির শেয়ার। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বস্ত্র খাতের শেয়ারের দাম বাড়ায় বড় ধরনের দরপতন থেকে রক্ষা পেয়েছে পুঁজিবাজার।

ডিএসইর তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার এ বাজারে ২০ কোটি ৮৩ লাখ ৮৩ হাজার ৩১২টি শেয়ারের হাত বদল হয়েছে। এতে লেনেদেন হয়েছে ৭২২ কোটি ৩৭ লাখ এক হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬৩৩ কোটি ৩৮ লাখ ৪৩ হাজার টাকার। তারও আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬১১ কোটি ৭১ লাখ তিন হাজার টাকা।

এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দুই পয়েন্টের বেশি কমে পাঁচ হাজার ৬০০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস ইনডেক্স শূন্য দশমিক ৪৭ পয়েন্টের বেশি কমে অবস্থান করছে এক হাজার ২৬৯ পয়েন্টে। আর ডিএস-৩০ ইনডেক্স কমেছে সাত পয়েন্টের বেশি।

ডিএসইতে লেনদেন করা কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৭টির, কমেছে ১৬৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫১টির শেয়ার। অপর বাজার সিএসইতে সার্বিক সূচক তিন পয়েন্ট বেড়ে ১০ হাজার ৪৪৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

বাজারটিতে লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০১টির, কমেছে ১১৯টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির শেয়ার। লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩১ কোটি ৯২ লাখ ২৮ হাজার টাকার।