dseদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পরও বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচক বেড়েছে। পতনের হাত থেকে রক্ষা করে বাজারটির মূল্য সূচক ঊর্ধ্বমুখী রাখতে ত্রাতার ভূমিকায় ছিল ব্যাংক ও আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মতো অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) মূল্য সূচক ঊর্ধ্বমুখী রাখতেও ব্যাংক ও আর্থিক খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তবে এ বাজারটিতে দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। ফলে মূল্য সূচকের বড় উত্থান হয়েছে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৩৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ১৪৯টি। আর ৫১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান এদিন পতনের তালিকায় স্থান করে নিলেও ব্যতিক্রম ছিল ব্যাংক ও আর্থিক কোম্পানিগুলো। ব্যাংক খাতের ৩০টি কোম্পানির মধ্যে এদিন ২১টিরই শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭টির এবং ২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর আর্থিক খাতের ২৩টির মধ্যে ১৪টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪টির এবং ৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পরও ব্যাংক ও আর্থিক খাতের কোম্পানিগুলো ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১২ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৭৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

অপর দুটি মূল্য সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯৫৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৭৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

মূল্য সূচকের পাশাপাশি ব্যাংক ও আর্থিক খাতের ভূমিকার কারণে ডিএসইর বাজার মূলধনও বেড়েছে। দিনের লেনদেন শেষ ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা। যা আগের কার্যদিবস শেষে ছিল ৩ লাখ ৯৬ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ বাজার মূলধন বেড়েছে ৫৯ কোটি টাকা।

বাজার মূলধন ও মূল্য সূচকের পাশাপাশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮১৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৮১১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।

গত কয়েক কার্যদিবসের মতো এদিনও টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে কেপিসিএল’র শেয়ার। কোম্পানিটির ৬৩ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা অ্যাকটিভ ফাইনের ৪৫ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৩৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সামিট পাওয়ার।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- ইফাদ অটোস, নাহি অ্যালুমেনিয়াম, আমান ফিড, কনফিডেন্স সিমেন্ট, পেনিনসুলা চিটাগাং, বিবিএস কেবলস এবং ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোড।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএসসিএক্স ৩২ পয়েন্ট বেড়ে ১০ হাজার ৪১৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৫১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০২টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টির।