Obaidul_Kaderদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন-‘নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে না, এটা আমরা বলবো না। প্রয়োজন হলে সেনা মোতায়েন হবে। যদি সময় ও পরিস্থিতি বিবেচনায় মোতায়েন করা দরকার হয়। সেই অবস্থায় নির্বাচন কমিশন অনুরোধ করলে, সরকার প্রয়োজন ও বাস্তব পরিস্থিতির আলোকে কীভাবে মোতায়েন হবে সেই সিদ্ধান্ত নেবে।

রোববার দুপুরে ইন্সটিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি) কাউন্সিল হলে সংগঠনটির ৪১তম কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় আইডিইবির সভাপতি এ কে এম হামিদ ও সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমানসহ সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় তিনি সংসদ ভেঙে নির্দলীয় সরকার গঠন, বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়েন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্যের দাবিকে অপ্রাসঙ্গিক, অবান্তর, অপ্রয়োজন ও অসাংবিধানিক বলে মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন- এখন সংসদ ভেঙে নির্দলীয় সরকার করার প্রয়োজন নেই। আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় ঠিক সেভাবেই নির্বাচন হবে। নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী, এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

মন্ত্রী বলেন, সংসদের শেষ অধিবেশন অক্টোবর মাসের ২০ তারিখের আগেই শেষ হয়ে যাবে। এরপর আর সংসদ বসবে না নির্বাচন পর্যন্ত। ফলে সংসদ সদস্যদের কোনও ক্ষমতা ও কার্যকরিতা থাকবে না। কাজেই এটা ভেঙে দেয়া কিংবা গণতান্ত্রিক দেশগুলোর মতো অকার্যকর রাখার মধ্যে পার্থক্যটা কোথায়, আমি বুঝতে পারি না।

তিনি আরও বলেন- আমরা মনে করি না আমাদের সবকিছু শুদ্ধ। আমাদেরও ভুলত্রুটি আছে কিন্তু ভুল ত্রুটি সংশোধনের সৎসাহস শেখ হাসিনার রয়েছে। বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন- সাহস থাকলে জনগণের কাছে নালিশ করুন। বিদেশে গিয়ে নালিশ করে দেশকে কেন খাটো করছেন।

জাতিসংঘের মহাসচিবের আমন্ত্রণ, বাস্তবে দেখা গেলো এমন কোনও আমন্ত্রণ নাই। কি রকম তারা প্রতারণা করে, রাজনীতিতে ছদ্মবেশী প্রতারণা পার্টির নাম বিএনপি। বিএনপি এখন বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশ কান্নাকাটি পার্টি হয়ে গেছে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সভা-সমাবেশ সবার জন্য উন্মুক্ত মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন- রাস্তাঘাট বন্ধ করে সমাবেশ না করে, পল্টনে-প্রেসক্লাবের সামনে রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশের প্রয়োজন নেই।

গত (শনিবার) গণভবনে আমাদের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রথম বৈঠক হয়েছিল। বৈঠকের এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে বলেছেন সভা-সমাবেশ করার ব্যাপারে এখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান যাতে সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে এ কথা পুলিশ কমিশনারকে জানিয়ে দিতে। আজকেই (রোববার) আমি পুলিশ কমিশনারকে জানিয়ে দিয়েছি।