olympicদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজার বিষয়ক বিশেষ ট্রাইবুন্যালে ১৯৯৬ সালে শেয়ার কেলেঙ্কারীর জন্য দায়েরকৃত অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ বিচারক মোঃ আকবর আলী শেখ এর আদালতে এই সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। এদিন আংশিক সাক্ষ্য দিয়েছেন মামলাটির বাদী এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক নির্বাহি পরিচালক এম.এ রশীদ খান। বাকি সাক্ষ্য আগামি ২৩ সেপ্টেম্বর দেওয়ার জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।

আজ ট্রাইবুন্যালে রাস্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাসুদ রানা খান। আর আসামী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের আইনজীবী হিসেবে ছিলেন বোরহান উদ্দিন ও মোশাররফ হোসেন কাজল। এর আগে গত ২৯ আগষ্ট মামলাটির অভিযোগ (চার্জ) গঠন করা হয়েছে। তবে ওইদিন ট্রাইবুন্যালে হাজির না হওয়ার কারনে এ মামলাটির আসামী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের বিরুদ্ধে ট্রাইবুন্যাল গ্রেফতারি পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) ইস্যু করেছে।

গত ৭ আগস্ট মামলাটির চার্জ গঠনের জন্য পূর্বনির্ধারিত থাকলেও তা পিছিয়ে ২৯ আগস্ট করা হয়েছিল। ওইদিন বাদী ও বিবাদী উভয়পক্ষের সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে ট্রাইবুন্যাল তা মঞ্জুর করে এবং ২৯ আগস্ট দিন ধার্য করেছিল। এর আগে ২৪ জুলাই ট্রাইবুন্যালে উচ্চ-আদালতের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের কপি দাখিলের মাধ্যমে মামলাটির বিচার কাজ শুরু হয়েছে। এ মামলাটির আসামীরা হলেন অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজসহ মোহাম্মদ ভাই ও আজিজ মোহাম্মদ ভাই। এরমধ্যে মোহাম্মদ ভাই চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি মারা গেছেন।

ওইদিন (২৪ জুলাই) আসামীদের আইনজীবী বোরহান উদ্দিন ট্রাইবুন্যালে মোহাম্মদ ভাইয়ের মৃত্যুর সনদ দাখিল করেন। এর আলোকে মোহাম্মদ ভাইয়ের মৃত্যুর সত্যতা যাছাইয়ে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশকে ট্রাইবুন্যাল নির্দেশ দিয়েছিল। যার মৃত্যুর সত্যতা আছে বলে ট্রাইবুন্যালকে অবহিত করে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ। গত বছরের ৩০ নভেম্বর উচ্চ-আদালত অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার কেলেঙ্কারী মামলাটির স্থগিতাদেশ বাতিল করে। বিচারক এম এনায়েতুর রহিম ও শহিদুল করিমের দ্বৈত বেঞ্চ এই বাতিলের আদেশ দেন।

২০১৩ সাল থেকে স্থগিত রয়েছে অলিম্পিক ইন্ডাষ্ট্রিজের শেয়ার কেলেঙ্কারীরর মামলাটি। ১৯৯৯ সালে দায়েরকৃত মামলাটি ২০১৫ সালে শেয়ারবাজার বিষয়ক ট্রাইবুন্যালে স্থানান্তরিত হয়েছে। তবে উচ্চ-আদালতের নির্দেশে এতোদিন মামলাটির বিচার কাজ বন্ধ ছিল। উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে প্রতারণার মাধ্যমে সাধারন বিনিয়োগকারীদের ঠকিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজসহ মোহাম্মদ ভাই ও আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের নামে মামলা দায়ের করা হয়।