national lifeদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্সে পরিচালকদের শেয়ার ধারন বেড়েছে। ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্সের শেয়ারের প্রতি পরিচালকদের আগ্রহ বেড়েছে। বীমা খাতের এ কোম্পানির শেয়ার ক্রয় করছেন স্বয় কোম্পানির পরিচালকরা।

তবে হঠাৎ করে পরিচালকদের শেয়ার ক্রয়ের আগ্রহে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সবার মনে একটাই প্রশ্ন হঠাৎ পরিচালকরা কেন শেয়ার কিনছেন। তবে ৩১ জুলাই’র তুলনায় ৩১ আগষ্ঠ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের চেয়ে পরিচালকদের শেয়ার সংখ্যা বাড়ছে। ৩১ জুলাই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ৩৯ দশমিক ৮২ শতাংশ তা বর্তমানে ৩১ আগষ্ঠ দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ০১ শতাংশ। তবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমছে।

৩১ জুলাই পরিচালকদের শেয়ার সংখ্যা ছিল ৫৩ দশমিক ৫১ শতাংশ তা বর্তমানে ৩১ আগষ্ঠ দাঁড়িয়েছে ৮২ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এছাড়া সাধারন বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে। ৩১ জুলাই সাধারন বিনিয়োগকারীদের  শেয়ার সংখ্যা ছিল ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ তা বর্তমানে ৩১ আগষ্ঠ দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ০৪ শতাংশ। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ধারণ নিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স বিমা খাতের এ কোম্পানির এজিএম আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স টাওয়ারের অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিটি ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ সমাপ্ত বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০ শতাংশ ক্যাশ ও ১৫ শতাংশ স্টকসহ মোট ৩৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। যা এজিএমে অনুমোদন করবে শেয়ারহোল্ডাররা।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পুঁজিবাজারের একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত হলো বীমা খাত। ব্যাংক, আর্থিক ও প্রকৌশল, বস্ত্র খাতের পাশাপাশি এ খাতটি পুঁজিবাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। হঠাৎ করে পরিচালকদের শেয়ার সংখ্যা বাড়া ইতিবাচক দিক। তাছাড়া এ কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের নিয়মিত ডিভিডেন্ড দিয়ে যাচ্ছে। বীমা খাতের অন্যান্য কোম্পানির তুলনায় ন্যাশনাল লাইফের পারফরমেন্স ভাল।

উল্লেখ্য, দেশের বিমা খাতের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, দক্ষতা ও নজরদারি বৃদ্ধিসহ সার্বিক উন্নয়নে ৫২০ কোটি টাকা ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয় এ ব্যাপারে গত ১৬ নভেম্বর সরকারের সঙ্গে দর-কষাকষিতে বসেছে। সরকার ইতিমধ্যে ‘বাংলাদেশের বিমা খাত উন্নয়ন প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্পের খসড়া তৈরি করেছে।