Indo-banglaদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে দেশের পুঁজিবাজারে যুক্ত হতে যাচ্ছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস নামের আরও একটি কোম্পানির শেয়ার। এর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা দাঁড়াবে ৩০৯টিতে। আগামীকাল সকাল সাড়ে ১০টায় কোম্পানিটি দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে একযোগে লেনদেন শুরু করবে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

লেনদেন শুরুর দিন কোম্পানিটির শেয়ারদর কেমন হবে- তা নিয়ে বিভিন্ন সিকিউরিটিজ হাউজ ও ফেসবুক গ্রুপগুলোতে বিনিয়োগকারীদের জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। বিনিয়োগকারীদের কেউ বলছেন, এনএভি মূল্যের দ্বিগুণের বেশি দরে লেনদেন শুরু হবে কোম্পানিটির।

আবার অনেকে বলছেন, শেয়ারপ্রতি মুনাফার ২৩ হতে ২৫ গুণের কাছাকাছি দরে কোম্পানিটির শেয়ারদর শুরু হতে পারে। তবে বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী বলছেন, কোম্পানিটির শেয়ারদর যেখান থেকেই শুরু হোক না কেন, দিনশেষে হয়তো ৩০ টাকার নিচে অবস্থান করবে।

তবে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইপিওতে আসা নতুন কোম্পানির শেয়ার লেনদেন শুরুর আগেই কোম্পানির প্রসপেক্টাসের বিভিন্ন তথ্য যাচাই-বাচাই করা উচিত। বিশেষ করে কোম্পানির সর্বশেষ শেয়ারপ্রতি আয়, সম্পদ মূল্য এবং সর্বোপরি কোম্পানি ব্যবসায়িক ধরণ বিবেচনা করা উচিত। এতে বিনিয়োগকৃত অর্থের বিপরীতে মুনাফা অর্জনের নিশ্চয়তা থাকবে।

ইন্দো-বাংলা ফার্মা আইপিও তথ্য : প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ইন্দো-বাংলা ফার্মা অভিহিত মূল্য ১০ টাকা দরে দুই কোটি শেয়ার বিক্রি করে ২০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করেছে। গত বছরের ৩ অক্টোবর কমিশন সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদনের সিদ্ধান্ত হলেও একটি বেসরকারি ব্যাংকের আপত্তিতে তা আটকে যায়। শেষ পর্যন্ত এ নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলার নিষ্পত্তি হলে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি আইপিও অনুমোদন করে চিঠি দেয় বিএসইসি।

এরপর গত ৯ থেকে ১৬ আগস্ট বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আইপিও চাঁদা সংগ্রহ করে কোম্পানিটি। গত ৪ অক্টোবর সিডিবিএলের মাধ্যমে আইপিও বিজয়ীদের বিও অ্যাকাউন্টে শেয়ার জমা করা হয়। আইপিও অর্থে কোম্পানির নতুন ভবন নির্মাণ ও যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হবে।

আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, জুন ২০১৭ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.২১ টাকা। এ সময় পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২.৮৪ টাকা। ২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১ টাকা ২১ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য ছিল ১২ টাকা ৮৪ পয়সা।