dse-mdদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বিশ্বে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার দ্রুত বিকাশমান ও সম্ভাবনাময় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। একটি স্থিতিশীল, স্বচ্ছ, জবাবদিহিতামূলক পুঁজিবাজার গড়ে তুলতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বিনিয়োগকারী শিক্ষা ও সচেতনতায় অগ্রগামী ভূমিকা পালন করে আসছে।

একটি শিক্ষিত ও সচেতন বিনিয়োগকারী গোষ্ঠী তৈরিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বদ্ধ পরিকর। ভাল মুনাফা করার জন্য কোম্পানি সম্পর্কে পূর্নাঙ্গভাবে অবগত হওয়া জরুরী ঝুঁকি এড়িয়ে পুঁজিবাজার থেকে ভাল মুনাফা করার জন্য বিনিয়োগকারীদের কোম্পানির সার্বিক আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে পূর্নাঙ্গভাবে অবগত হওয়া জরুরী।

বিনিয়োগ শিক্ষা থেকে একজন বিনিয়োগকারী অধিক সঞ্চয় ও বিনিয়োগ অভ্যাস গড়ে তোলা, সম্পদের সুষম ব্যবহার এবং বিনিয়োগকারীদের অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারেন। ৩ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে চট্টগ্রামের স্থানীয় এক হোটেলে দিনব্যাপী আঞ্চলিক বিনিয়োগকারী সচেতনতামূলক কর্মশালায় ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে. এ. এম. মাজেদুর রহমান এসব কথা বলেন।

দেশের বিভাগীয় শহরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে তৃণমূল পর্যায়ে বিনিয়োগ শিক্ষা বিস্তারে ডিএসই বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে আসছে। বিনিয়োগকারীদের অধিকার নিশ্চিতকরণ, বাজারে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এ ধরণের কর্মসূচী সকলের কাজে লাগবে বলে তিনি আশা পোষণ করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. সাইফুর রহমান মজুমদার, এফসিএ এবং বিএসইসি’র পরিচালক রেজাউর রহমান।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. সাইফুর রহমান মজুমদার তার বক্তব্যে বলেন, শিক্ষার মাধ্যমে আর্থিক বাজারে বিনিয়োগকারীগন আর্থিক পণ্য ধারণা এবং ঝুঁকি সম্পর্কে তাদের উপলব্ধি ও জ্ঞান বৃদ্ধি করতে পারে। পরবর্তীতে তা কাজে লাগিয়ে দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক পরিকল্পনার ভিত্তিতে বিভিন্ন বিনিয়োগ পণ্য যাচাইপূর্বক সঠিক বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে।

বিনিয়োগ শিক্ষা থেকে মূলতঃ সাধারণ বিনিয়োগকারীগণ উপকৃত হয়ে থাকেন। এর ফলে বিনিয়োগকারীগন জেনে -বুঝে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সুবিন্যস্ত আর্থিক ব্যবস্থা এবং অবসর জীবনের পরিকল্পনা প্রণয়ন, বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণে অধিক আস্থা অর্জন করতে পারেন।

দিনব্যাপী কর্মসূচীর মধ্যে ২টি টেকনিক্যাল সেশন পরিচালনা করেন যথাক্রমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহুর এবং বিএসইসি’র পরিচালক জনাব মোঃ রেজাউল করিম। প্রশিক্ষণ শেষে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালকবৃন্দ এবং বিএসইসি’র পরিচালক অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

পরবর্তীতে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করা হয়। এখানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ডিএসই’র উপমহাব্যবস্থাপক ও ডিএসই ট্রেনিং একাডেমীর ইনচার্জ মিসেস হোসনে আরা পারভিন।