DSE-DBAদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সঙ্গে আলোচনায় বসছেন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ) এর নেতারা। এর আগেও বাজার পরিস্থিতি নিয়ে কিছু দিন আগে (২৩ অক্টোবর) স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)তে অনুষ্ঠিত সেই বৈঠকে কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে তাতেও বাজারে স্বাভাবিক গতি ফিরেনি। দু’দিন দিন লেনদেন ও সূচকে সামান্য উর্ধ্বগতি দেখা গেলেও ফের আগের ধারায় ফিরে এসেছে বাজার। মঙ্গলবারসহ টানা ৫ দিন দর পতন হয়েছে বাজারে।

গত ৬ দিনের মধ্যে সে দিনই সবচেয়ে কম লেনদেন হয়েছে ডিএসইতে। বাজারের এই আচরণে সকলের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ কাজ করছে। তাই এই পরিস্থিতি কেন সৃষ্টি হচ্ছে সে কারণ খুঁজে করণীয় ঠিক করতে ডিবিএ নেতারা ডিএসইর সঙ্গে আলোচনায় হয়েছে।

বৈঠকে মন্দা বাজারে ঘন ঘন আইপিও অনুমোদন, স্পন্সর শেয়ার বিক্রি, প্লেসমেন্ট শেয়ারের নামে অনাচার, কোম্পানি ডি-লিস্টিংসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। প্রাথমিক রেগুলেটর হয়েও ডিএসই অনেক বিষয়ে সময়মত ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ডিবিএ’র নেতারা। বৈঠক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

এদিকে মন্দাবাজারেও চলতে থাকে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর স্পন্সরদের শেয়ার বিক্রির হিড়িক। এরই প্রেক্ষাপটে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য ডিবিএ ও ডিএসই বৈঠকে বসে। ডিএসইর প্রেসিডেন্ট প্রফেসর এম এ হাশেম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএএম মাজেদুর রহমান, সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক মো: রকিবুর রহমান, পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন, ডিবিএর প্রেসিডেন্ট মোশতাক আহমেদ সাদেক, ডিবিএ নেতা রিচার্ড ডি রোজারিও প্রমুখ বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠকে ডিবিএ নেতারা পুঁজিবাজারের সাম্প্রতিক নাজুক পরিস্থিতির জন্য স্পন্সরদের শেয়ার বিক্রির হিড়িককেও অন্যতম কারণ বলে দায়ী করেন। বিশেষ করে তারা খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (কেপিসিএল) করপোরেট স্পন্সর সামিট করপোরেশনের পৌনে দুই লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এছাড়া, মন্দা বাজারেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্তৃক ঘন ঘন আইপিও অনুমোদনেরও সমালোচনা করেন ডিএসই ও ডিবিএ নেতৃবৃন্দ।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, মন্দা বাজারে উদ্যোক্তা পরিচালকরা যে দরেই শেয়ার বিক্রি করুক তাতে তাদের মুনাফা হচ্ছে। বিপরীত দিকে সাধারন বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হচ্ছে। এতে তাদের আস্থার সংকট দেখা দিচ্ছে। আর এ পরিস্থিতিতে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার বিক্রির একটা গাইড লাইন বা নীতিমালা থাকা উচিত। যে গাইড লাইনে বলা থাকবে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কতদিন আগে শেয়ার বিক্রি করলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা সচেতন হতে পারবে। এতে সাধারন বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা বাড়বে, ক্ষতিগ্রস্ত কম হবে।