rahima foodদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত রহিমা ফুড করপোরেশন লেনদেনে ফিরে আসার প্রক্রিয়া শুরু করছে। এরই অংশ হিসাবে কোম্পানিটি সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ব্যবসা বন্ধ থাকলেও জমি বিক্রির টাকা থেকে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটি। শুধু লভ্যাংশ নয়, কোম্পানিটি অভিহিত মূল্য ১০ টাকা দরে রাইট শেয়ার বিক্রি করে মূলধন দ্বিগুণ করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

২০১৭ সমাপ্ত বছরে রহিমা ফুডের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৯ টাকা ৬ পয়সা। গত বছর জমি বিক্রি থেকে ২০ কোটি টাকা আয় হয়েছিল। ওই আয়ে এ মুনাফা হয়েছে।

Page-01 (4)টানা তিন বছরের বেশি সময় ধরে উৎপাদন কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ থাকার পাশাপাশি বছরের পর বছর শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ না দেওয়ায় সাড়ে তিন মাস আগে ১৯ জুলাই রহিমা ফুডকে তালিকাচ্যুত করে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের এক কোটি ২৫ লাখ ২৫ হাজার ৭৫৬ শেয়ার রয়েছে। তালিকাচ্যুতির আগের দিন ১৮ জুলাই তারিখে শেয়ারটি সর্বশেষ ১৭৪ টাকা ৩০ পয়সা দরে কেনাবেচা হয়। এ হিসাবে বিনিয়োগকারীদের শেয়ারের দাম ছিল ২১৮ কোটি টাকারও বেশি। এর বিপরীতে তারা সাড়ে ১২ লাখ টাকা লভ্যাংশ পেতে যাচ্ছেন।

কোম্পানি কর্তৃপক্ষ আশা করছে, লভ্যাংশ ঘোষণার পাশাপাশি রাইট ঘোষণা করার পর পুনরায় এর শেয়ারবাজারে পুনঃতালিকা ভুক্তির সুযোগ তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ও স্টক এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তারা বিবেচনা করবেন বলেও আশা তাদের। এ বিষয়ে সংশ্নিষ্টদের মতামত পাওয়া যায়নি।

রহিমা ফুডের কোম্পানি সচিব জাকির হোসেন জানান, নারিকেল তেল উৎপাদন কারখানা স্থাপনে প্রয়োজনীয় মূলধনের জন্যই রাইট শেয়ার বিক্রির পরিকল্পনা নিয়েছে পর্ষদ। এজন্য ইজিএমও ডাকা হয়েছে। আগামী ২৭ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য আগামী ৪ ডিসেম্বর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে। তালিকাচ্যুতির আগে কোম্পানিটি কারখানা স্থাপনে কোনো কাজ শুরু হয়নি বলেও জানান তিনি।