bidut lagoসাজিদ খান, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারের একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত হলো বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। ব্যাংক, আর্থিক ও প্রকৌশল খাতের পর বর্তমানে পুঁজিবাজারে শক্তিশালী খাত হিসাবে পরিচিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাত। ব্যবসায় ইতিবাচক অবস্থা অব্যাহত থাকার পাশাপাশি দেশের বাজারে তেল ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির কারণে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো আগের তুলনায় আরও বেশি ভাল করার সুযোগ পাচ্ছে, যার কারনে এদের অবস্থা দিন দিন ভাল হচ্ছে। আর কোম্পানিগুলোর শেয়ার প্রতি মুনাফা বেড়েছে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।

বিগত বছরের বাজার বিশ্লেষনে দেখা গেছে, এ খাতের কোম্পানিগুলো শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। যার কারণে বিনিয়োগকারীরা এ খাতে আকৃষ্ট হয়ে থাকে বলে মনে করেছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। মূলত জ্বালানি তেলের নিম্নমূল্য ও বিদ্যুৎ ব্যবহার বৃদ্ধির সুফল পাচ্ছে বিদ্যুৎ খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো। অন্যদিকে চাহিদা ও সরকার কর্তৃক মার্জিন বৃদ্ধির কারণে জ্বালানি বিপণন কোম্পানিগুলোর মুনাফা বেড়েছে বলে ধারণা করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

তারা আরো বলছেন, ব্যবসায় ইতিবাচক অবস্থা অব্যাহত থাকার পাশাপাশি দেশের বাজারে তেল ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির কারণে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো আগের তুলনায় আরও বেশি মুনাফা করার সুযোগ পাচ্ছে যার কারনে এদের ইপিএস পূর্বের তুলনায় বেড়ে গেছে।

তবে জ্বালানী ও বিদ্যুৎ খাতের সিংহভাগ কোম্পানি বড় মূলধনী হলেও ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তুলনায় এ খাতের মাত্র কয়েকটি কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে। ফলে এ খাতের বাড়তি আয়ে শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণও বাড়ে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১৯ টি কোম্পানির মধ্যে প্রথম প্রান্তিকে দুই কোম্পানি মুনাফায় চমক দেখিয়েছে। সবচেয়ে বেশি মুনাফা দেখিয়েছে মেঘনা পেট্রোলিয়াম। কোম্পানিটি গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) করেছে ৮ টাকা ৬ পয়সা।

আগের বছর একই সময়ে কোম্পানির ইপিএস ছিল ৬ টাকা ৩ পয়সা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানির আয় বেড়েছে ২ টাকা ৩ পয়সা। এরপরেই অবস্থান করছে ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস। কোম্পানিটি লোকসান থেকে বেরিয়ে এসেছে।

ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টসের গত সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৬৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ১ টাকা ৪৪ পয়সা।

তথ্যমতে, এছাড়া যেসব কোম্পানির আয় বেড়েছে সেগুলো হচ্ছে: বারাকা পাওয়ার, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, ডেসকো, ডরিন পাওয়ার, ইন্ট্রাকো, যমুনা ওয়েল, খুলনা পাওয়ার, লিন্ডে বিডি, পদ্মা অয়েল, পাওয়ার গ্রিড, শাহজিবাজার পাওয়ার, সামিট পাওয়ার, এবং ইউনাইটেড পাওয়ার। যেসব কোম্পানির আয় কমেছে সেগুলো হচ্ছে: জিবিবি পাওয়ার, মবিল যমুনা, তিতাস গ্যাস। তবে লোকসানে রয়েছে বিডি ওয়েল্ডিং লিমিটেড।