mjlbdদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: এমজেএল কোম্পানির প্রধান লক্ষ হলো প্রযুক্তিগতভাবে উৎকৃষ্ট ও বিশ্বমানের লুব্রিকেন্ট উৎপাদন এবং বাংলাদেশের বাজারে তা সরবরাহ করা বলে জানিয়েছেন এমজেএল বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান রহমাতুল মোনেম । সেই সাথে এই কোম্পানি বাংলাদেশের সব থেকে বেশি বিশ্বস্ত লুব্রিকেন্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানও বলে তিনি মন্তব্য করেন।

বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর,২০১৮) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনিস্টিটিউটে এমজেএল বাংলাদেশ লিমিটেডের ২০তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) তিনি এসব কথা বলেন।

রহমাতুল মোমেন আরো বলেন, এমজেএল এককভাবে গুনগত মানের উন্নত লুব্রিকেন্ট মার্কেট লিডার হিসেবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। আর আমাদের লুব্রিকেন্ট সরবরাহকারী কোম্পানি এক্সন মবিল কর্তৃক বিধিবদ্ধ সকল মানদন্ড ও নির্দেশনাবলী সফলভাবে অনুসরন করায় এক্সন মবিল কর্তৃক কোম্পানি বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে এবং এর উপর স্বীকৃতিও লাভ করেছে।

তিনি বলেন, বিগত বছরে এমজেএল জাতীয় কোষাগারে উল্লেখযোগ্য পরিমান কর দিয়ে আসছে। এই স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৭ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছ থেকে অন্যান্য খাতে সর্বোচ্চ আয়কর প্রদানকারী কোম্পানি হিসেবে পুরস্কার লাভ করেছে। এছাড়াও উন্নত কর্পোরেট সুশাসন চর্চার জন্য ইনিস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারি থেকে গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড পেয়েছে বলে তিনি জানান।

তিনি কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরে এমজেএল সমন্বিত ভাবে ২২৯ কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জন করেছে, যা পূর্ববর্তী বছরে ছিল ২১২ কোটি টাকা। এর অর্থ কোম্পানির সমন্বিত নিট মুনাফা গত বছর থেকে প্রায় ৮.২% বেশি হয়েছে। এবং আমরা এই বছর যে লভ্যাংশ আপনাদের দিয়েছি আগামীতে তা আরো বাড়ানোর চেষ্টা করব বলে তিনি জানিয়েছেন।

এজিএমে কোম্পানিটির পর্ষদের ঘোষিত ৪৫ শতাংশ নগদ এবং ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়। এছাড়া এজিএমে আরো আটটি আলোচ্যসূচি (এজেন্ডা) অনুমোদিত হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজম জে চৌধুরী, পরিচালক আমিনুর রহমান, তানজিল চৌধুরী, গিয়াস উদ্দিন আনসারী, স্বতন্ত্র পরিচালক ইজাজ হোসাইনসহ আরো অনেকে।