govtমনজুর তালুকদার, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর মুনাফা ও লভ্যাংশ তুলনামূলকভাবে বেড়েছে। বাজারে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাদে তালিকাভুক্ত ১৭ সরকারি কোম্পানির মধ্যে ১৬টি নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে ৮টি কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে। আর ৬টি কোম্পানির লভ্যাংশের হার বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর তথ্যমতে, ৫টি কোম্পানি লোকসানে রয়েছে। তবে ৩টির লোকসান কমেছে। আর ৩টি কোম্পানির মুনাফা কমেছে।অন্যদিকে লভ্যাংশ প্রদানের ক্ষেত্রে ৬টির বেড়েছে; ৩টি কোম্পানির কমেছে। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫টি কোম্পানির। তবে বরাবরের মতো লভ্যাংশ দেয়নি ২টি কোম্পানির।

Page-01 (11)তবে এই মুনাফা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে সরকারি তেল কোম্পানিগুলোর। তবে ডেসকোর মুনাফা বেড়েছে সব চেয়ে বেশি। সমাপ্ত বছরে ডেসকোর মুনাফা বেড়েছে ১৮৮.৬৪ শতাংশ। আর পদ্মা অয়েলের মুনাফা বেড়েছে ৬৫.২৮ শতাংশ, মেঘনা পেট্রোলিয়ামের মুনাফা বেড়েছে ৬৪.২০ শতাংশ, যমুনা অয়েলের মুনাফা বেড়েছে ২৫.৩১ শতাংশ, ন্যাশনাল টি কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে ৩৩.৬৭ শতাংশ।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, কয়েকটি কোম্পানি বাদে বাকিদের তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। পাশাপাশি কোম্পানিগুলোর পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধি, সুদের হার কমে আসা, পণ্য বিক্রিতে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি, করপোরেট সুশাসন পরিপালনে ঘাটতি রয়েছে। বিশেষকরে ম্যানেজমেন্টের সমস্যা রয়েই গেছে। এই সমস্যা থেকে কোম্পানিগুলো পরিত্রাণ পাচ্ছে না।

photo-govt-comsবারবার কোম্পানিগুলোর অধিকাংশ শেয়ার অফলোড করার কথা থাকলেও তা করা হচ্ছে না। তাতে বিনিয়োগকারীর আস্থা নষ্ট হচ্ছে। এদিকে শ্যামপুর সুগার ও জিলবাংলা সুগারের লোকসান দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। কোম্পানির এই লোকসান কমিয়ে আনতে তেমন কোনো উদ্যোগও পরিলক্ষিত নয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মার্চেন্ট ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, একেক কোম্পানির মুনাফা কমার পেছনে একেক কারণ রয়েছে। আবার কিছু কোম্পানি যেন লোকসান করতে পছন্দ করে। যে হারে পরিচালন ব্যয় বাড়িয়েছে; সেই হিসাবে মুনাফা বাড়েনি। আবার অনেকের সেলস কমে গেছে।