textile lagoসাজিদ খান, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: দেশের পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাতের লেনদেন দিন দিন পিছিয়ে পড়লেও বস্ত্র খাতের শেয়ার লেনদেনে একক আধিপত্য বিস্তার রয়েছে। একদিকে বস্ত্র খাতের মুনাফা বাড়ছে, অন্যদিকে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে এ খাতে। তবে এক সময় বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের মুল ছিল ব্যাংক খাত। কালের পরিক্রমার এবং ব্যাংক খাতের নাজুক পরিস্থিতির কারনে এ খাতে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বিনিযোগকারীরা।

গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে ছিল বস্ত্রখাতের প্রাধান্য। লেনদেনের শীর্ষ দশ কোম্পানির মধ্যে চারটিই ছিল এই খাতের। সবার শীর্ষে ছিল সায়হাম কটন, দ্বিতীয় স্থানে ড্রাগন স্যুয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং, চতুর্থ স্থানে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলস (পিটিএল) এবং ষষ্ঠ স্থানে এমএল ডাইয়িং। ডিএসই ও লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের সাপ্তাহিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে সায়হাম কটনের ৭৯ কোটি ১১ লাখ টাকা মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা।দ্বিতীয় স্থানে থাকা ড্রাগন স্যুয়েটারের দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা। লেনদেনের তৃতীয় স্থানে ছিল এনিমেল হেলথ কোম্পানি এডভেন্ট ফার্মা। গত সপ্তাহে দৈনিক গড়ে ১৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে এই কোম্পানির।

বস্ত্র খাতের কোম্পানি প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলস লিমিটেড (পিটিএল) দৈনিক গড়ে ১৩ কোটি ১৩ লাখ টাকার লেনদেন নিয়ে ছিল তালিকার চতুর্থ অবস্থানে। পঞ্চম অবস্থানে ছিল বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানি ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমেটেড (ইউপিজিডিসিএল)।

আলোচ্য সপ্তাহে এই কোম্পানির ১৩ কোটি ৮ লাখ টাকা মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়। বস্ত্র খাতের কোম্পানি এমএল ডায়িং দৈনিক গড়ে ১২ কোটি ৬১ লাখ টাকার লেনদেন নিয়ে ছিল তালিকার ষষ্ঠ অবস্থানে। পরের চারটি অবস্থানে ছিল যথাক্রমে খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (কেপিসিএল), ইন্দোবাংলা ফার্মা (আইবিপি),

ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড ও এসকে ট্রিমস ইন্ডাস্ট্রিজ। কোম্পানিগুলোর দৈনিক গড় শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১২ কোটি ২ লাখ টাকা, ১১ কোটি ৬৪ লাখ, ১১ কোটি ৪৭ লাখ ও ১১ কোটি ১১ লাখ টাকা।