hasina-muradদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যায় জনগণকে দিতে, মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাতে। অন্যদিকে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শুধু নিজেদের ভাগ্য গড়ে, দেশের মানুষের ভাগ্য নয়। আজ সোমবার দুপুরে ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে আয়োজিত এক নির্বাচনী জনসভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘নিজের ভাগ্য গড়ার জন্য না, বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য গড়ার জন্য আমার রাজনীতি। আমার তো হারাবার কিছু নেই। বাবা-মা, ভাই সব হারিয়েছি। বাংলাদেশের জনগণ, যে জনগণের জন্য আমার বাবা সারা জীবন কষ্ট করেছেন, জেলজুলুম, অত্যাচার সহ্য করেছেন, নিজের জীবনটা পর্যন্ত দিয়ে গেছেন, সেই জনগণের ভাগ্য গড়াটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য।’

‘আগামী নির্বাচনে যদি আমরা জয়ী হয়ে আসতে পারি, তাহলে এ দেশের কোনো মানুষ দরিদ্র থাকবে না। প্রত্যেকটা মানুষ সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারবে। আমরা সেভাবে পরিকল্পনা নিয়েছি’, বলেন শেখ হাসিনা।

১০ বছর আগে বিএনপির আমলে ঢাকার অবস্থা অসহনীয় ছিল। পানি, বিদ্যুৎ রাস্তাঘাট, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাসহ সবকিছুতেই ছিল দুরবস্থা। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেই পরিস্থিতি দূর করেছে।

ঢাকাবাসীর জীবনমানের উন্নয়ন ঘটিয়েছে। রাজধানীর যানজট দূরীকরণে এরই মাঝে বিভিন্ন ফ্লাইওভার নির্মাণ ও মেট্রো রেল প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামীতে ঢাকাকে আরো বসবাস উপযোগী করতে পাতাল রেল, এলিভেটেড রোড, রিং রোড, খাল খনন, বস্তিবাসীর জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণসহ নানা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার।

পরিশেষে বিগত ১০ বছরের উন্নয়ন কার্যক্রম ও আগামীতে গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ঢাকার বিভিন্ন আসনে মহাজোটের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে ঢাকাবাসীর কাছে ভোট প্রার্থনা করেন শেখ হাসিনা।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-২ আসনে মহাজোটের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম, ঢাকা-৪ আসনের আবু হাসান বাবলা, ঢাকা-৫ আসনের হাবিবুর রহমান মোল্লা, ঢাকা-৬ আসনের কাজী ফিরোজ রশীদ, ঢাকা-৭ আসনের হাজি মোহাম্মদ সেলিম, ঢাকা-৮ আসনের রাশেদ খান মেনন ও ঢাকা-৯ আসনের প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরী।