potibadon lagoদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর ভালো ইপিএসের প্রভাব পড়তে শুরু করছে বাজারে। বিশেষ করে জুন ক্লোজিং কোম্পানির ভালো ইপিএসের প্রভাব পড়ছে। ফলে কোম্পানিগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ছে।

জুন ক্লোজিং কোম্পানিগুলোর দ্বিতীয় প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন আসতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে যেসব কোম্পানি দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ করেছে এর মধ্যে গুটি কয়েক কোম্পানি বাদে বেশিরভাগ কোম্পানির প্রান্তিক প্রতিবেদন ভালো অবস্থায় রয়েছে যার ইতিবাচক প্রভাব বাজারে পড়ছে। জানা যায়, সদ্য প্রকাশিত ১০ কোম্পানির দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে।

কোম্পানিগুলো হলো: জেএমআই সিরিঞ্জ, ডেসকো, এসএস স্টীল, ইস্টার্ন হাউজিং, মালেক স্পিনিং, রহিম টেক্সটাইল, পেনিনসুলা, ড্রাগন সোয়েটার, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন এবং কাট্টলি টেক্সটাইল লিমিটেড। নিচে কোম্পানিগুলোর প্রান্তিক প্রতিবেদন তুলে ধরা হলো:

জেএমআই সিরিঞ্জ: দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর’১৮) অনিরীক্ষত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেডের ইপিএস আগের বছরের তুলনায় ২৫.১৭ শতাংশ বেড়েছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৭৪ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ১.৩৯ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ০.৩৫ টাকা বা ২৫.১৭ শতাংশ।

এদিকে ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’১৮) শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২.৭৪ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ২.১৭ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ০.৫৭ টাকা বা ২৬.২৬ শতাংশ। এছাড়া শেয়ার প্রতি কার্যকর নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১৭.১৩ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ১৬ টাকা। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৭০.৯৫ টাকা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৬৬.৭৪ টাকা।

ডেসকো: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’১৮) জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের ডেসকো’র ইপিএস হয়েছে ০.৮১ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.৩৩ টাকা।

অর্ধবার্ষিক (জুলাই’১৮-ডিসেম্বর’১৮) আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৭৬ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ০.৮৬ টাকা। এছাড়া শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২.০২ টাকা। শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪৪.৩৪ টাকা।

এসএস স্টীল লিমিটেড: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’১৮) এসএস স্টীলের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৫৪ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.৩১ টাকা। অর্ধবার্ষিকে এসএস স্টীলের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৯৮ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ০.৫৮ টাকা। এছাড়া শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ০.০১ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ০.৩৩ টাকা।

এদিকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ অনুযায়ী, কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (পুন:মূল্যায়নসহ) দাঁড়িয়েছে ১৮.৮৫ টাকা। ৩০ জুন,২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরে যার পরিমাণ ছিল ১৬.৯১ টাকা।

ইস্টার্ন হাউজিং লি:: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’১৮) ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ইপিএস হয়েছে ০.৮৯ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.৭৫ টাকা। এছাড়া অর্ধবার্ষিকে (জুলাই-ডিসেম্বর’১৮) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২.০৬ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ১.৯৯ টাকা।

এদিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৫৯.৭১ টাকা এবং শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ( এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১.৫১ টাকা।

মালেক স্পিনিং মিলস: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’১৮) মালেক স্পিনিংয়ের ইপিএস হয়েছে ০.৫২ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.৩৯ টাকা। এছাড়া অর্ধবার্ষিকে (জুলাই-ডিসেম্বর’১৮) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৭৯ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.৫০ টাকা।

এদিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৪৬.১৫ টাকা এবং শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১.৪৯ টাকা।

রহিম টেক্সটাইল: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’১৮) রহিম টেক্সটাইলের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩.১৫ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ১.৭৫ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ১.৪০ টাকা বা ৮০ শতাংশ।

এছাড়া ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’১৮) শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫.১৯ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ২. ৯৩ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ২.২৬ টাকা বা ৭৭.১৩ শতাংশ।

এদিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১.৫৪ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ০.৩৭ টাকা। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৪০.৫৬ টাকা, যা ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত সময়ে ছিল ৪০.৯১ টাকা।

পেনিনসুলা চিটাগং লি: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’১৮) পেনিনসুলা চিটাগাংয়ের ইপিএস হয়েছে ০.২৩ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.১৭ টাকা।এছাড়া অর্ধবার্ষিকে (জুলাই-ডিসেম্বর’১৮) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৬৪ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.৩২ টাকা।

এদিকে শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৩০.৯৪ টাকা এবং শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ০.২৩ টাকা।

ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং লিমিটেড: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’১৮) ড্রাগন সোয়েটারের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৬১ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ০.৫৪ টাকা। এছাড়া অর্ধবার্ষিকে (জুলাই-ডিসেম্বর’১৮) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.২৯ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ০. ৯৩ টাকা।

এদিকে শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ০.৬০ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ০.৩৩ টাকা। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৮.৫২ টাকা, যা ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত সময়ে ছিল ১৮.২৯ টাকা।

বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি): দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’১৮) বিএসসি’র ইপিএস হয়েছে ০.৫৩ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.৪০ টাকা। এছাড়া অর্ধবার্ষিকে (জুলাই-ডিসেম্বর’১৮) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৯০ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.৭০ টাকা। এদিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৫৪.২২ টাকা এবং শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১.৫৪ টাকা:

কাট্টলি টেক্সটাইল লিমিটেড: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’১৮) কাট্টলি টেক্সটাইলের ইপিএস হয়েছে ০.৪৯ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.২৮ টাকা।এছাড়া অর্ধবার্ষিকে (জুলাই-ডিসেম্বর’১৮) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৯৬ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.৫৪ টাকা।

এদিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ০.১৪ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ০.২৬ টাকা। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৮.৭৩ টাকা, যা ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত সময়ে ছিল ২২.৪৩ টাকা।