দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে ৩০ দুর্বল কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, এ ধরনের সংবাদ প্রকাশের পর ওইসব কোম্পানির শেয়ারমূল্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ওই তালিকায় থাকা সব কোম্পানির দাম বৃহস্পতিবার কমেছে। তবে এসব কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন কম হওয়ায় সামগ্রিকভাবে বাজারে এর তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি।

জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে দুর্বল কোম্পানি চিহ্নিত করেছে ডিএসই। এসব কোম্পানিগুলো দুর্বল মৌলভিত্তির কিন্তু অতিমূল্যায়িত। এসব কোম্পানির আর্থিক অবস্থা, উৎপাদন পরিস্থিতি বিবেচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএসই। এক্ষেত্রে বিএসইসির অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। গণমাধ্যমে বৃহস্পতিবার এই সংবাদ প্রকাশের পর কোম্পানিগুলো শেয়ারে প্রভাব পড়েছে। ওইদিন যেসব কোম্পানির শেয়ারের দাম সবচেয়ে বেশি কমেছে, এর মধ্যে সবগুলো ওই তালিকায় থাকা কোম্পানি।

ডিএসইর তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলো হল- প্রকৌশল খাতের কোম্পানি কে অ্যান্ড কিউ, খাদ্য খাতের কোম্পানি মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ, আবদুল আউয়াল মিন্টুর মালিকানাধীন বস্ত্র খাতের কোম্পানি দুলামিয়া কটন এবং সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন একই খাতের কোম্পানি বেক্সিমকো সিনথেটিক অন্যতম। এ ছাড়াও রয়েছে সমতা লেদার, সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি শ্যামপুর সুগার, জিল বাংলা সুগার এবং বস্ত্র খাতের আরেক কোম্পানি ইমাম বাটন।

মেঘনা কনডেন্স মিল্ক, বিডি ওয়েল্ডিং, জুট স্পিনার্স, সাভার রিফেক্টরিজ, বেক্সিমকো সিনথেটিকস, সুরিদ ইন্ডাস্ট্রিজ, বিডি অটোকারস, এমারেল্ড ওয়েল, বাংলাদেশ সার্ভিস, বিচ হ্যাচারি, ঢাকা ডাইং অ্যান্ড ম্যানুফেকচারিং, হক্কানি পাল্প, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, মিথুন নিটিং, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, তাল্লু স্পিনিং, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার, মুন্নু সিরামক, মুন্নু জুট স্টাফলার, সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল এবং তুং হাই নিটিং অ্যান্ড ডাইং।

জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, দুর্বল এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াটা যৌক্তিক। না হলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এসব কোম্পানির শেয়ার কিনে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিনি বলেন, এসব কোম্পানি বছরের পর বছর কোনো লভ্যাংশ দেয় না। হঠাৎ করে দাম বাড়ে। কয়েকদিন পর আবার বড় দরপতন হয়। ফলে এগুলো তালিকাচ্যুত করে বাজারে একটি বার্তা দেয়া দরকার।