দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজার থেকে মূলধন বাড়াতে শেয়ার না বাড়িয়ে বন্ড ছেড়ে টাকা উত্তোলন করতে চায় তালিকাভুক্ত ব্যাংক ও আর্থিক খাতের ৫ কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- এনসিসি ব্যাংক, ইউনাইটেড ফাইন্যান্স, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ডেল্টা ব্রাক হাউজিং ফিন্যান্স কর্পোরেশন এবং ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড।

তবে সব কিছু নির্ভর করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর অনুমোদনের উপর। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) অনুমোদন পেলেই বন্ডের মাধ্যমে টাকা তুলবে প্রতিষ্ঠানগুলো।

এনসিসি ব্যাংক: ব্যাংকিং খাতের কোম্পানি এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড নন-করভারটেবল সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যু করে ৭০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। সম্প্রতি ব্যাংকটির ৪০২তম পরিচালনা পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জানা যায়, ব্যাংকটি নন-করভারটেবল সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যু করে ৭০০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। ব্যাংকটি মূলধন বৃদ্ধি (টায়ার-টু) ব্যাসেল থ্রি শর্ত পূরণের জন্য এই বন্ড ইস্যু করা হবে।

ইউনাইটেড ফাইন্যান্স: আর্থিক খাতের কোম্পানি ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ নন কনভার্টেবল জিরো কুপন বন্ড ছেড়ে ৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা হবে আনসিকিউরড, আনলিস্টেড। বন্ডের মেয়াদ হবে ৫ বছর। প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বন্ডটি ইস্যু করা হবে।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক: ব্যাংকিং খাতের কোম্পানি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড কুপর বিয়ারিং রেট নন-করভারটেবল ফুললি রিডাম্বেল বন্ড ইস্যু করে ৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। ৭ বছর মেয়াদী এই বন্ডের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে নন-কনভার্টেবল, ফুললি রিডাম্বেল, আনসিকিউরড, থার্ড সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড।

জানা যায়, ব্যাংকটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ৭ বছরের জন্য বন্ডটি ইস্যু করা হবে। ব্যাংকটি মূলধন বৃদ্ধি (টায়ার-টু) ব্যাসেল থ্রি শর্ত পূরণের জন্য এই বন্ড ইস্যু করা হবে।

ডেল্টা ব্রাক হাউজিং: আর্থিক খাতের কোম্পানি ডেল্টা ব্রাক হাউজিং ফিন্যান্স কর্পোরেশন লিমিটেড বন্ড ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটি ৩০০ কোটি টাকার নন-কনভার্টেবল জিরো-কুপন বন্ড ইস্যু করবে। প্রাইভেট প্লেসমেন্টর মাধ্যমে কোম্পানিটি এ বন্ড ছাড়বে। বন্ড মেয়াদ হবে ইস্যু তারিখ থেকে ৫ বছর ৬ মাস জন্য ছাড়বে।

ব্যাংক এশিয়া: ব্যাংকিং খাতের কোম্পানি ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড ফ্লোটিং রেট নন-করভারটেবল বন্ড ইস্যু করে ৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। ব্যাংকটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ৭ বছরের জন্য বন্ডটি ইস্যু করা হবে। ব্যাংকটি মূলধন বৃদ্ধি (টায়ার-টু) ব্যাসেল থ্রি শর্ত পূরণের জন্য এই বন্ড ইস্যু করা হবে।

তবে সব কিছু নির্ভর করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর অনুমোদনের উপর। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) অনুমোদন পেলেই বন্ডের মাধ্যমে টাকা তুলবে প্রতিষ্ঠানগুলো।