দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, প্লেসমেন্টে নানা অনিয়ম হচ্ছে। তবে তা দেখার কেউ নাই। এক্ষেত্রে কয়েকজন ব্যক্তি স্বার্থে শেয়ারবাজারকে আরেকটি মহাধসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। যেটা বর্তমানে শেয়ারবাজারের সবচেয়ে বড় অন্তরায়। যে বিষয়টি আজকে ডিএসইর পর্ষদ সভায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসে।

তিনি বলেন, প্লেসমেন্টের অনৈতিকতা বন্ধ করা না গেলে, শেয়ারবাজারে ভয়াবহ বিপর্যয় হতে পারে। ফলে আগামিতে প্লেসমেন্ট শেয়ারে ৩ বছর লক ইন করার শর্তে আইপিও অনুমোদন দেওয়ার জন্য বিএসইসিতে ডিএসই সুপারিশ করবে বলে আজকের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। একইসঙ্গে প্লেসমেন্টের বিপরীতে প্রাপ্ত বোনাস শেয়ারেও ৩ বছর লক ইন করার শর্ত দেওয়া হবে।

বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে প্লেসমেন্ট নিয়ে এই আলোচনা উঠে আসে। বৈঠকে আলোচনার প্রধান কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠে প্লেসমেন্ট। এতে ডিএসইর পরিচালকেরা কিছু ব্যক্তির অনৈতিক প্লেসমেন্ট কারবার নিয়ে সমালোচনা করেন। যারা শেয়ারবাজারকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।

সুত্রে মতে, পুঁজিবাজারে বর্তমানে প্রাইভেট প্লেসমেন্টে শেয়ার বিক্রয় নিয়ে অনৈতিক প্রতিযোগিতা চলছে। যেটা ২০০৯-১০ সালের চেয়েও ভয়াবহ। যা শেয়ারবাজারকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। এমনটি চলতে থাকলেও শেয়ারবাজারে আবারও ১৯৯৬ এবং ২০১০ সালের মতো আরেকটি ধস অনিবার্য।

যা সমাধানে প্লেসমেন্ট শেয়ারে ৩ বছর লক ইন করা দরকার বলে মনে করছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদ। একইসঙ্গে উক্ত শেয়ারের বিপরীতে বোনাস শেয়ারেও ৩ বছরের লক ইন করার পক্ষে ডিএসইর পর্ষদ।

কিছু ব্যক্তি ও ইস্যুয়ার কোম্পানির যোগসাজোশে প্লেসমেন্টের অনৈতিক ব্যবহার করা হচ্ছে ডিএসইর পর্ষদের আলোচনায় উঠে আসে। এক্ষেত্রে ১০ টাকার শেয়ার ২৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানানো হয়। অথচ ওই টাকার মাত্র ১০ টাকা কোম্পানির হিসাবে যোগ হয়। বাকি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। এছাড়া আইপিও’র থেকে প্লেসমেন্টে বেশি শেয়ার ইস্যু নিয়ে সমালোচনা করা হয়।