দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে ছোট মূলধনী কোম্পানির লেনদেনের জন্য আলাদা বোর্ড গঠনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। যার উদ্বোধন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। তবে বিএসইসি ও স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে সব প্রস্তুতি সম্পন্নের কথা বলা হলেও এখনও পর্যন্ত কোন কোম্পানি এই বোর্ডে তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন করেনি। অর্থমন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি অনুযায়ী চলতি মাসের ১৪ তারিখের মধ্যে এই বোর্ড উদ্বোধন করার কথা ছিল। তবে সেটি আর হচ্ছে না।

বিএসইসি সূত্র বলছে, আমরা স্মল ক্যাপ রুলস, এ্যামেনমেন্ট অব ট্রেডিং রেগুলেশন এবং সেপারেট লিস্টিং রেগুলেশন করেছি। বিএসইসির পক্ষ থেকে স্মলক্যাপ বোর্ড গঠনে যা করা দরকার; তা করা হয়েছে। এখন দরকার এই বোর্ডে নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্তি সংক্রান্ত কাজ করা এবং বোর্ড চালু করা; যার স্টক এক্সচেঞ্জের দায়িত্ব।

বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক এম সাইফুর রহমান বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে স্মলক্যাপ বোর্ডের প্রয়োজনীয় সব আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এখন সব কিছু ঠিক রেখে মার্কেটটি চালু করার দায়িত্ব স্টক এক্সচেঞ্জের। তারা এটি নিয়ে কাজ করছে। তিনি জানান এখনও স্মলক্যাপ বোর্ডে তালিকাভুক্তির জন্য কোন কোম্পানি আবেদন করেনি।

এদিকে স্মলক্যাপ বোর্ড নিয়ে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এম মাজেদুর রহমান বলেন, স্মলক্যাপ বোর্ড গঠনের সব প্রস্তুতি আমরা সম্পন্ন করেছি। অর্থমন্ত্রী এই বোর্ডের উদ্বোধন করবেন। উনি সময় নির্ধারণ করলে স্মলক্যাপ বোর্ড উদ্বোধন হবে।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, ট্রেডিং প্লাটফর্মের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমস, ক্লিয়ারিং এ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেমস, ম্যাচিং ইঞ্জিন এবং ওয়েবসাইট ডিজাইন সম্পন্ন হয়েছে।

স্মলক্যাপ বোর্ডে যেসব কোম্পানি বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আসবে, সেসব কোম্পানির বিডিং হবে ডাচ এ্যাকশন পদ্ধতিতে। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আসা কোম্পানিগুলোর বর্তমান পরিশোধিত মূলধন এবং কোয়ালিফাইড ইনভেস্টরস অফার (কিউআইও) মিলে ন্যুনতম ১০ কোটি টাকা হবে। আর স্থির মূল্য পদ্ধতিতে আসা কোম্পানিগুলোর বর্তমান পরিশোধিত মূলধন এবং কিউআইও মিলে ন্যুনতম ৫ কোটি টাকা হবে।

৩০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানি এই বাজারে থাকতে পারবে না। এই পরিমাণ মূলধনের কোম্পানিকে মূল মার্কেটে তালিকাভুক্ত হতে হবে। স্মল ক্যাপ কোম্পানির কিউআইও তে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আবেদন করতে পারবে না। কেবল প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা আবেদন করতে পারবে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বলতে ওই প্রতিষ্ঠান বা উচ্চ সম্পদধারী ব্যক্তি; যাদের পোর্টফোলিওতে নেট এ্যাসেট ১ কোটি টাকা।

এই বাজারে তালিকাভুক্ত হতে আসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবশ্যই পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হতে হবে। এর আগে গত ২০ নভেম্বর কিছু পরিবর্তন ও পরিমার্জন সংশোধনসহ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কোয়ালিফায়েড ইনভেস্টর অফার বাই স্মল ক্যাপিটাল কোম্পানিজ) রুলস ২০১৮-এর চূড়ান্ত অনুমোদন করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। যা জনমত যাচাই করা হয়।