দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: টানা দরপতনে অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে দেশের পুঁজিবাজার। বর্তমান পুঁজিবাজারে আস্থা সঙ্কট প্রকট আকারে থাকায় তারল্য সংকটে হাহাকার করছে। ফলে টানা দরপতনে বিনিয়োগকারীরা অনিশ্চিয়তায় রয়েছে। ফলে বর্তমান সরকারের ১শত দিন পূর্ন হলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরা সফল হলেও অর্থমন্ত্রী পুঁজিবাজার ইস্যুতে কিছুটা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

কারন বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ, মানববন্ধন, পুঁজিবাজারে নানা ইস্যুতে তুলকালাম, দায়িত্বশীলদের সমন্বয়হীনতা ইত্যাদি দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষদের দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে দ্বিগুণ। পুঁজিবাজারের এরকম পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিও বিপাকে পড়েছে। তাই পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরানোই অর্থমন্ত্রীর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, ২০১০ অর্থবছরের শেষ এবং ২০১১ অর্থবছরের শুরু থেকেই পুঁজিবাজারে ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যাপক দরপতন হয়। ২০১৮ সালের জানুয়ারী মাসের মধ্যখানে কিছুদিন ভালো অবস্থানে থাকলেও বর্তমানে আবার চলছে অস্থিরতা। ক্রমান্বয়ে কমছে লেনদেনের পরিমাণ।

নতুন সরকারের মেয়াদ এক মাস পার না হতেই পতনের কবলে পড়ে দেশের পুঁজিবাজার। প্রায় তিন মাস ধরে এ দরপতন অব্যাহত রয়েছে। এমন দরপতনে এখন অনেকটাই অন্ধকারে নিমজ্জিত বাজার। প্রতিনিয়ত পুঁজি হারানোর আতঙ্কে ভুগছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বড় ধরনের রাজনৈতিক হানাহানি ছাড়াই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া এবং সরকারের ধারাবাহিকতা থাকায় পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছিল। তবে বাজারে সংক্রিয় ছিল বিভিন্ন কারসাজি চক্র। এতে ভালো প্রতিষ্ঠান থেকে দুর্বল প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেশি বাড়ে। বাজারে এমন কারসাজি চললেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তা বন্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

তারা বলছেন, নির্বাচনের পর প্রথমদিকে বাজারের উত্থান ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে কারসাজি চক্র নিয়ন্ত্রণে নেয় বাজার। এতে অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দাম। বিএসইসি প্রথমদিকে যদি শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতো তাহলে আজ বাজারের এমন অবস্থা হতো না। শুধু নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি নয়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ও বাজারের এ দূরবস্থার জন্য দায়ী।

পুঁজিবাজার দরপতনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি

পুঁজিবাজার দরপতনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি

Posted by Deshprotikhon on Friday, April 19, 2019