সিলেট ব্যুরো, দেশ প্রতিক্ষণ: সিলেটে রহস্যজনক মারা যাওয়া ডা. প্রিয়াঙ্কা তালুকদার শান্তাকে তার শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়মিত নির্যাতন করতেন বলে স্বীকার করেছেন তারা। রিমান্ডে পুলিশের কাছে বিষয়টি স্বীকার করেছেন প্রিয়াঙ্কার শ্বশুর ও শাশুড়ি।তিন দিনের রিমান্ড শেষে প্রিয়াঙ্কার স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

মহানগর হাকিম আদালত-১ এ রিমান্ড শেষে রোববার প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আতিকুর রহমান।ওইদিন আসামিরা জামিনের জন্যও আবেদন করেন। তবে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। মামলার বাদী ডা. প্রিয়াঙ্কার বাবা হৃষিকেশ তালুকদারের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এমাদ উল্লাহ সহিদুল ইসলাম শাহীন।

তিনি বলেন, আদালতে রিমান্ডের প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ। প্রতিবেদনে ডা. প্রিয়াঙ্কার ওপর নির্যাতন করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। শ্বশুর ও শাশুড়ি প্রিয়াঙ্কার ওপর নির্যাতন চালান বলে রিমান্ডে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। ওইদিন আসামিরা জামিনের জন্য আবেদন করলেও আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

এ ব্যাপারে জালালাবাদ থানার ওসি শাহ মো. হারুনুর রশীদ বলেন, রিমান্ড শেষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। রিমান্ডে ডা. প্রিয়াঙ্কার নির্যাতনের ব্যাপারে আসামিরা স্বীকার করেছে। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার আগে বলা যাবে না।

উল্লেখ্য, গত ১২ মে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সিলেট নগরীর পশ্চিম পাঠানটুলায় পল্লবী আবাসিক এলাকা থেকে ডা. প্রিয়াঙ্কা তালুকদার শান্তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় শান্তার বাবা হৃষিকেশ তালুকদার বাদী হয়ে নগরের জালালাবাদ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের আগেই পুলিশ প্রিয়াঙ্কার স্বামী দিবাকর দেব কল্লোল, শ্বশুর সুভাষ চন্দ্র দেব ও শাশুড়ি রত্না রানী দেবকে আটক করে। পরে তাদেরকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সিলেট মহানগর হাকিম আদালত (এমএম-১) হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে বিচারক মো. জিয়াদুর রহমান ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

নিহত ডা. প্রিয়াঙ্কা তালুকদার শান্তা সিলেট পার্কভিউ মেডিকেল কলেজের ফিজিওলজি বিভাগের লেকচারার ছিলেন।শান্তার বাবা হৃষিকেশ তালকদার অভিযোগ করেন স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকের পরিকল্পিতভাবে তার মেয়েকে হত্যা করেছেন। ডা. প্রিয়াঙ্কার তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান আছে।