দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ার বিক্রি কমে গেছে। এ কারণে স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে সরকারের রাজস্ব আদায়ও কমেছে। চলতি বছরের মে মাসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে সরকারের কোষাগারে রাজস্ব জমা পড়েছে ১০ কোটি ১১ লাখ টাকা, যা আগের মাসের তুলনায় ৩৩ কোটি টাকা কম। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত কোম্পানির বার্ষিক হিসাব বছর শেষ হওয়ার দুই মাস আগে থেকে ও নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পরিচালনা পর্ষদে গৃহীত হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ার কেনাবেচায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

এর ফলে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বীমা ছাড়া অন্যান্য কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের জন্য এপ্রিল মাস থেকেই শেয়ার কেনাবেচা নিষিদ্ধ রয়েছে। মে মাসে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ার কেনাবেচা কমে যাওয়ার এটিই মূল কারণ।

ডিএসই থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, চলতি বছরের এপ্রিলে ডিএসই থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছিল ৪৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা, যা মে মাসে ১০ কোটি ১১ লাখ টাকায় নেমে আসে। মে মাসে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার কেনাবেচা থেকে রাজস্ব আদায় হয় ২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, যা এপ্রিলে ছিল ৩৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এক মাসের ব্যবধানে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার লেনদেন থেকে রাজস্ব আদায় কমেছে প্রায় ৩৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।

অবশ্য উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছ থেকে সরকারের রাজস্ব আয় কমলেও মে মাসে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার লেনদেন থেকে রাজস্ব সামান্য বেড়েছে। এপ্রিলে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনাবেচা থেকে সরকারের রাজস্ব আয় ছিল ৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, যা মে মাসে ৭ কোটি ৭১ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডিএসইতে থেকে সরকার ৩২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা রাজস্ব পায়। এছাড়া ফেব্রুয়ারীতে ২৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা ও মার্চে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।