দেশ প্রতিক্ষণ, ভোলা: ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড এর কাদের মাস্টার বাড়িতে মোসলেউদ্দিনের ঘরে ২০ বস্তা ভিজিএফ কার্ডের চাল উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা খাদ্যগুদামের কর্মকর্তা।

জানা যায়, মোসলেউদ্দিন পিতাঃ সালামত দফাদার কাদের মাস্টার বাড়ির পশ্চিম পাশের দোতলা দালান বাড়ি করে বসবাস করেন। গতকাল বিকেল ৫.৩০ টার দিকে কয়েকটি ভ্যান তার বাড়িতে প্রবেশ করে, তখন এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে, জিজ্ঞাসা করলে মোসলেউদ্দিন বলেন আমার বাড়িতে কি করব সেটা আমার বিষয়।

এরপর এলাকাবাসী স্থানীয় সাংবাদিকদের জানায়, তারা এসে দেখেন চালের বস্তা ঘর থেকে টেনে বাড়ির পিছনে বাগানের দিকে পাশের বাড়ির কবিরের সহায়তায় নিয়ে যাচ্ছে। এইসময় সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মোসলেউদ্দিন, তার স্ত্রী, মেয়েরা সাংবাদিকদের উপর তেরে আসে ও দুর্ব্যবহার করে এবং ভিজিএফের এত চাল কোথায় নিচ্ছেন জানতে চাইলে তারা আরও উত্তেজিত হয়ে উঠেন।

স্থানীয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করলে, ঘটনাস্থলে পুলিশের চারজন সদস্য রাত ৮ টার দিকে আসে। এইফাঁকে মোসলেউদ্দিন তার ঘরের দোতলা থেকে প্রায় ২০ বস্তা চাল নামিয়ে কিছু চাল তার মটকায় সংরক্ষণ করে, বাকি বস্তা বাগানের মধ্য দিয়ে রাতের অন্ধকারে লুকিয়ে ফেলে। আর ভিজিএফের খালি বস্তাগুলো আগুন দিয়ে পুরিয়ে দেয়।

পুলিশের সদস্যরা জানায় চাল পাওয়া গেছে, কিন্তু বস্তা পাইনি। স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, মোসলেউদ্দিন এলাকায় দুম্বা দালাল নামে পরিচিত। সে রমাগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার খাস লোক। চেয়ারম্যানের আশির্বাদে এলাকায় অপকর্ম করে বেরায়।

বিদ্যুৎ এর খাম্বা ও মিটার দেয়ার নাম করে জনপ্রতি ৫/৭ হাজার টাকা নিয়েও অনেকই মিটার না দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মিটারের কথা গ্রাহক বললে তাদেরকে নানভাবে হয়রানি করেন এবং আরও টাকা দাবি করে। এদিকে মোসলেউদ্দিন এর দুই ছেলে বিদেশে থাকে, নিজে আর্থিকভাবে সচ্চল ও বাড়িতে দোতলা পাকা ঘর।

এ বিষয় চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার ভিজিএফের ২০ বস্তা চাল মোসলেউদ্দিনের বাড়িতে পাওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন মোসলেউদ্দিনের কার্ড আছে, আর বাকি চালের ব্যাপারে আমি জানি না। গরীব, অসহায়, ও জেলেদের জন্য সরকারি বরাদ্দকৃত চাল মোসলেউদ্দিনের বাড়িতে কেন জানতে চাইলে তিনি এরিয়ে যান ।

এলাকাবাসী জানায়, মোসলেউদ্দিন উরফে দুম্বা দালাল বৃত্তবান হওয়া সত্যেও চেয়ারম্যান এর সহায়তায় প্রায় তিন বছর ধরে ইনিয়ন পরিষদের গরীব, দুস্তদের বরাদ্দের ভিজিএফ, ভিজিডি, মৎস সহায়তার চাল বস্তায় বস্তায় বাড়িতে নিয়ে রেখে কিছুদিন পরে বিক্রি করেন।