দেশ প্রতিক্ষন, ঢাকা: পুঁজিবাজার উন্নয়নে বেশ কিছু প্রণোদনা থাকবে বলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছেন। এদিকে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের করমুক্ত লভ্যাংশ আয়ের সীমা ২৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছে ডিএসই। এছাড়া স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে বড় দাবি ছিল তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির মধ্যে করপোরেট কর হারের ১৫ শতাংশ ব্যবধান তৈরি করা।

এর বাইরে লেনদেনের ওপর ধার্য অগ্রিম করহার কমানো, এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য কয়েক বছরের কর অবকাশ সুবিধা, বন্ড বাজারের উন্নয়নে কর প্রতিবন্ধকতা দূর করার পাশাপাশি কর সুবিধা প্রদান এবং পাঁচ বছরের জন্য স্টক এক্সচেঞ্জকে কর অবকাশ সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান এ বিষয়ে বলেছেন, এরই মধ্যে অর্থমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন বাজেটে পুঁজিবাজারবান্ধব বেশ কিছু প্রণোদনা থাকবে। আমরাও আশা করছি বাজারের উন্নয়নে বাজেটে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বিএসইসির পক্ষ থেকে এরই মধ্যে বেশ কিছু প্রস্তাবও অর্থ মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য একগুচ্ছ প্রণোদনা থাকছে। একদিকে যেমন বিনিয়োগকারীদের কর ছাড় দেওয়া হবে, অন্যদিকে কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রেও কর ছাড় দেওয়া হতে পারে। বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশের ওপর করমুক্ত আয়সীমা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বর্তমানে বার্ষিক ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশে কোনো কর দিতে হয় না। এটি বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হতে পারে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

অন্যদিকে কোম্পানির ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্নভাবে করপোরেট করে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে কোম্পানিগুলো শেয়ারধারীদের দুই ধরনের লভ্যাংশ দিয়ে থাকে। এগুলো হলো বোনাস লভ্যাংশ ও নগদ লভ্যাংশ। সরকার কোম্পানিগুলোকে নগদ লভ্যাংশ ঘোষণায় উৎসাহিত করতে চায়। এ জন্য যেসব কোম্পানি নগদ লভ্যাংশ দেবে, সেসব কোম্পানিকে কিছুটা কর ছাড় দেওয়া হতে পারে। এখন শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ করপোরেট কর দিতে হয়।

এদিকে খরায় থাকা বন্ড মার্কেটকে চাঙা করতেও বাজেটে প্রণোদনা থাকছে। বন্ড তালিকাভুক্ত করার ক্ষেত্রে ওই প্রতিষ্ঠানের খরচ কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বন্ড ছাড়লে নিবন্ধন ফিসহ যাবতীয় খরচ কমানো হতে পারে। সে ক্ষেত্রে নামমাত্র খরচে বন্ড তালিকাভুক্ত করা যাবে।

বর্তমানে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত একটি করপোরেট বন্ড আছে। এটি ইসলামী ব্যাংকের আইবিবিএল মুদারাবা বন্ড। এটিই শুধু লেনদেন হয়। এ ছাড়া ২২১টি ট্রেজারি বন্ড আছে। এই বন্ডগুলো লেনদেন হয় না।