দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ গত আট বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম হয়েছে।বিদায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের আগের বছরে ডিএসইতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রকৃত বিনিয়োগ কমেছে ১৮৩ কোটি ৭০ লাখ ৮৪ হাজার ৯১৭টাকা। এর আগে ২০১০-১১ অর্থবছরে প্রকৃত বিনিয়োগ কমেছিল ৪০৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। যা গত আট বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

ডিএসইর তথ্য মতে, পহেলা জুলাই ২০১৮ সাল থেকে ৩০ জুন ২০১৯ সাল পর্যন্ত গত বছরের ২৩৮ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। তাতে বিদেশিরা শেয়ার কেনাবেচা বাবদ লেনদেন হয়েছে ৮ হাজার ২১৯ কোটি ৩২ লাখ ৯৯ হাজার ৩৬৫ টাকা। এর মধ্যে তারা ৪ হাজার ১৭ কোটি ৮১ লাখ ৭ হাজার ২২৪ টাকার শেয়ার কেনার বিপরীতে শেয়ার বিক্রি করেছেন ৪ হাজার ২০১ কোটি ৫১ লাখ ৯২ হাজার ১৪১ টাকা। অর্থাৎ বিদেশিদের প্রকৃত বিনিয়োগ কমেছে ১৮৩ কোটি ৭০ লাখ ৮৪ হাজার ৯১৭টাকা।

২০১৭-১৮ অর্থবছরের বিনিয়োগকারীদের লেনদেন হয়েছিল ১১ হাজার ৭২৯ কোটি ১৭ লাখ ৩৯ হাজার ৬১৭টাকা। এর মধ্যে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কিনেছিলেন ৫ হাজার ৯০০ কোটি ৪৭ লাখ ১৬ হাজার ২১১ টাকা। তার বিপরীতে শেয়ার কিনেছিল ৫ হাজার ৮২৮ কোটি ৭০ লাখ ২৩ হাজার ৪০৭ টাকা। অর্থাৎ গত বছর প্রকৃত বিনিয়োগ বেড়েছিল ৭১ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার ৮০৪ টাকা।

বাজার বিশ্লেকরা বলছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৫মাস পুঁজিবাজারে নেতিবাচক ধারায় লেনদেন হয়। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর জানুয়ারি মাস ইতিবাচক প্রবণতায় লেনদেন হয়। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতিকে কেন্দ্র করে নতুন করে আবারও দরপতন শুরু হয়। এই ইস্যুর পাশাপাশি প্লেসমেন্ট, উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার বিক্রির হিড়িক এবং নতুন অর্থবছরের বাজেটকে কেন্দ্র করে জুন পর্যন্ত পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে। আর দরপতনে বিদেশিরা শেয়ার কেনাবেচা থেকে বিরত রয়েছে।