দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: এখন থেকে পূর্বের অথবা নতুন ক্রয়কৃত সঞ্চয় পত্রের ইন্টারেস্ট অথবা কুপন বাবদ যাহা পাবেন তাহার উপর ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর কেটে রাখা হবে আগে ছিল ৫ শতাংশ। সঞ্চয়পত্র যখনি কিনা হউক না কেন, ১ জুলাই ২০১৯ তারিখ থেকে নতুন-পুরোনো সব সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে মুনাফার ওপর উৎসে কর ১০ শতাংশ কেটে রাখার বিধান রেখে অর্থ আইন,২০১৯ প্রণয়ন করা হয়েছে। এদিকে সঞ্চয়পত্রে উৎসে কর দ্বিগুণ করার কারণে এক শ্রেণীর গ্রাহক সঞ্চয়পত্রে আস্থা হারিয়ে পুঁজিবাজারে আগ্রহী হবে এমনটাই মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, অর্থ বিল ২০১৯’এ সঞ্চয়পত্রের উৎসে কর বাড়ানোর প্রস্তাবের পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। এত দিন যাঁরা ৫ শতাংশ উৎসে কর দিয়ে আসছিলেন, তাঁদের জন্যও নতুন হারে কর আরোপ হবে, নাকি নতুন ও পুরোনো সবার জন্যই ১ জুলাই থেকে ১০ শতাংশ উৎসে কর চালু হবে? যাঁরা মুনাফার টাকা তোলেননি, তাঁদের ক্ষেত্রেই-বা কী নিয়ম হবে—এসব প্রশ্ন আসছিল। তবে বাজেট পাসের পর সবাই স্পষ্ট হলো যে সবার জন্যই ১০ শতাংশ উৎসে কর।’

এদিকে ১ জুলাই থেকে সারা দেশে সঞ্চয়পত্র কেনার ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম চালু হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের নির্দেশনা পেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সঞ্চয় অধিদপ্তর এর আগে তিন দফা প্রজ্ঞাপন জারি করে বলেছে, অনলাইন পদ্ধতির বাইরে আর সঞ্চয়পত্রের লেনদেন করা যাবে না। আসল ও মুনাফা ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে চলে যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল আগের দিনের তারিখ দিয়ে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সিস্টেমের আওতায় অর্থাৎ অনলাইনে সঞ্চয়পত্র কেনার বিষয়ে অর্থ বিভাগ গত ২৯ মে বাংলাদেশ ব্যাংক, সঞ্চয় অধিদপ্তর, ডাক অধিদপ্তর এবং সোনালী ব্যাংককে যে চিঠি দিয়েছিল, বাংলাদেশ ব্যাংক গতকালের প্রজ্ঞাপনে সে কথাগুলোই আবার বলেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ: অগ্রাধিকার কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় অর্থ বিভাগ ‘জাতীয় সঞ্চয় স্কিম অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ চালু করেছে। ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগীয় শহরে এটি চলমান।

অর্থ বিভাগ এবং সঞ্চয় অধিদপ্তরের সূত্রগুলো জানায়, এখন থেকে সঞ্চয়পত্র কেনা ও মুনাফা নেওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র, কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) এবং একটি ব্যাংক হিসাব থাকা বাধ্যতামূলক। আর নগদে মাত্র এক লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে, এতে টিআইএন লাগবে না। গোটা খাতকে একটা শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে সরকার এই নিয়ম চালু করেছে।