দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে যত বিনিয়োগ হবে শিল্পায়ন তত তরান্বিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের অভ্যান্তরে দীর্ঘমেয়াদি অর্থ যোগান দেওয়ার জন্য সরকার একটি শক্তিশালী শেয়ারবাজার গঠনে কাজ করে যাচ্ছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের করমুক্ত আয়ের সীমা ২৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে।

বিভিন্ন ধরনের ফিন্যান্সিয়াল প্রোডাক্টসহ বন্ড প্রচলনের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। শর্ট সেল ও রিক্স বেজড সংশ্লিষ্ট দুটি বিধি প্রণয়ন করা হয়েছে। একটি শক্তিশালী শেয়ারবাজার গড়ে তোলার জন্য ধারাবাহিকভাবে পলিসি সাপোর্ট, আইনগত সংস্কার, অবকাঠামোগত নির্মাণসহ নানাবিধ সহযোগিতা দিয়ে আসছে।

আজ সোমবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন ফিনান্সিয়াল রেগুলেটরস ট্রেনিং ইনিশিয়েটিভের (এপেক এফআরটিআই) রিজিওনাল সেমিনার অন ফিনান্সিয়াল লিটারেসি অ্যান্ড ইনভেস্টরস প্রোটেকশন শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালের মধ্যে দুই সংখ্যায় প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য আামদের। আমাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, পুঁজিবাজারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে ও বিনিয়োগে অংশীদার করা সম্ভব। ফলে যত বেশি মানুষ পুঁজিবাজারে সম্পৃক্ত হবে, আমাদের শিল্পায়ন ততবেশি ত্বরান্বিত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই দেশের কোনও মানুষই দরিদ্র থাকবে না। অন্তত বড় মৌলিক চাহিদাগুলো যেন পূরণ হয়, সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমাদের অর্থনীতি মূলত কৃষি ভিত্তিক কিন্তু শিল্পায়নও আমাদের একান্তভাবে প্রয়োজন। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা দেশে শিল্পায়নের মাধ্যমে অধিক হারে কর্মসংস্থানের চেষ্টা করে যচ্ছি এবং এটা সম্ভব।

তিনি আরও বলেছেন, আমাদের উন্নয়নটা সমগ্র দেশব্যাপী হতে পারে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, জিডিপির ভিত্তিতে বাংলাদেশ বিশ্বের ৪৩তম এবং কর্মক্ষমতার ভিত্তিতে ৩২তম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ ২০১৭ সালে দ্রুততম প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী শীর্ষ দশটি দেশের তালিকায় ছিল। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি দেশে পরিণত হয়েছে।

এসময় বিনিয়োগের ঝুঁকি কমাতে জেনে-শুনে-বুঝে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া উপার্জনের সব টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ না করে কিছু টাকা হাতে রেখে বাকিটা বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান তিনি।

ভাষণ শেষে চার দিন ব্যাপী এ্যাপেক ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি এবং ইনভেস্টর প্রোটেকশন (এফআরটিআই) সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। ২২টি দেশের অংশগ্রহণে এ সম্মেলনের সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি)।