দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: এক লাখ টাকায় লাইসেন্স নিয়ে এক লাখ টাকা লাইসেন্স ফি এবং ন্যূনতম ৫ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন হলেই স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেকহোল্ডার (ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট) লাইসেন্স নিয়ে শেয়ার ব্যবসা করা যাবে-এমন বিধান রেখে বিএসইসি(ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট) রুলস, ২০১৯ প্রণয়ন করতে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ই‌তিম‌ধ্যে আইনটির খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে যা শিগগিরই জনমত জরিপের জন্য প্রকাশ করা হবে। জনমত জরিপ শেষে খসড়া আইনটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

এ ব্যাপারে বিএসইসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, নতুন ট্রেকহোল্ডার লাইসেন্সের জন্য দেশি-বিদেশি অনেক প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছে। কিন্তু এ সংক্রান্ত কোন আইন প্রণয়ন করা হয়নি। তাই ট্রেকহোল্ডার সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের কাজ চলছে। ই‌তিম‌ধ্যে আইনটির খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে।

ট্রেকহোল্ডার লাইসেন্সের জন্য পরিশোধিত মূলধন ন্যূনতম ৫ কোটি থাকতে হবে। এছাড়া ১ লাখ টাকা লাইসেন্স ফি প্রদান করতে হবে। তবে প্রতিষ্ঠানের নেট অ্যাসেট ভ্যালু অবশ্যই পরিশোধিত মূলধনের ৭৫% বাধ্যবাধকতা রেখে ট্রেকহোল্ডার সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের কাজ চলছে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ট্রেকহোল্ডারের লাইসেন্সের জন্য চায় ৬ বিদেশি কোম্পানিসহ বেশকিছু দেশি প্রতিষ্ঠান তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইজিএফ প্রাইভেট ব্যাংক, সিডিএফ লন্ডন, ব্ল্যাক রক এবং এবারডিন অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ডিএসই’র ট্রেকহোল্ডারের লাইসেন্স নেওয়ার জন্য এলওআই পাঠিয়েছে। এছাড়া ডিএসই’তে এলওআই পাঠিয়েছে চায়নার সিআইটিআইসি সিএলএসএ সিকিউরিটিজ এবং ইউএসএ’র গোল্ডম্যান সাচস গ্রুপ।

জানা গেছে, বর্তমানে ডিএসই’র ট্রেকহোল্ডারের সংখ্যা ২৫০টি। নতুন করে ট্রেক ইস্যুর ক্ষেত্রে ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন,২০১৩ এর ১৬ (৫) ধারায় বলা হয়েছে, ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশনের তারিখ হতে ৫ বছর অতিক্রম করার পর ট্রেকহোল্ডারদের যোগ্যতা পরিপালন সাপেক্ষে নির্ধারিত পদ্ধতিতে কোনো আবেদনকারীর অনুকূলে ট্রেক ইস্যু করা যাবে। ইতিমধ্যে ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশনের ৫ বছর শেষ হয়েছে।

অর্থাৎ নতুন ট্রেক ইস্যুর ক্ষেত্রে আইনের কোনো বাধা নেই। তবে নতুন ট্রেকহোল্ডারের লাইসেন্সের জন্য কমিশনের অনুমোদন লাগবে তাই নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের পরই নতুন ট্রেকহোল্ডারের লাইসেন্স দেওয়া হবে। অন্যদিকে নতুন ট্রেক ইস্যুর ক্ষেত্রে আলাদা কোনো আইন বা নির্দেশনা এখনো প্রণয়ন করেনি বিএসইসি।

তাই স্টক এক্সচেঞ্জের নতুন ট্রেকহোল্ডারদের লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে আইন প্রণয়ের উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি। শিগগিরই আইনটি জনমত জরিপের জন্য প্রকাশ করা হবে। আর আইন প্রণয়ের পরপরই নতুন ট্রেক ইস্যু করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, ডিএসই ট্রেকহোল্ডারের সংক্রান্ত আইন প্রণয়নে পরিশোধিত মূলধন ন্যূনতম ১০ কোটি টাকা,ডিলারের জন্য আরো ১৫ কোটি টাকা এবং লাইসেন্স ফি ১ কোটি টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করেছিল।