দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) পাওনা অর্থ পরিশোধ করছে না ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ছয় ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীর (ডিপি) প্রতিষ্ঠান। এ কারণে এই ছয় ডিপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ ছাড়া ডিএসইর পাঁচ ট্রেকহোল্ডার ২০১৯ সালের জুন সময়ের রিপোর্ট দালিখের ক্ষেত্রে আইন লঙ্ঘন করেছে।

এ কারণে এই পাঁচ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তা ৫ দিনের মধ্যে জানাতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গতকাল বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম. খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে ৬৯৪তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সাইফুর রহমান জানিয়েছেন।

কমিশন সভার বরাত দিয়ে সাইফুর রহমান জানান, সিনহা সিকিউরিটিজের কাছে সিডিবিএল ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা পাবে। এ ছাড়া এম সিকিউরিটিজের কাছে ৪৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, লোটাস শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজের কাছে ২৯ লাখ, বানকো সিকিউরিটিজের কাছে ৪০ লাখ ৩৪ হাজার, ফার্স্ট লিড সিকিউরিটিজের কাছে ৩০ লাখ ৪৬ হাজার ও শাদ সিকিউরিটিজ থেকে ৬৩ লাখ ৯২ হাজার টাকা পাবে। এই ডিপিদের কমিশন থেকে চিঠি দেয়ার পরও উল্লিখিত পরিমাণ অর্থ অনাদায়ী রয়েছে। এই কার্যকলাপের মাধ্যমে ডিপিরা আইন লঙ্ঘন করেছে।

একইসঙ্গে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ফলে কমিশন এই ডিপিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এনফোর্সমেন্ট বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছে। অপরদিকে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭ এর রুলস ৩(৪) লঙ্ঘন করেছে সিনহা সিকিউরিটিজ হাউজ, এমডি ফখরুল ইসলাম সিকিউরিটিজ হাউজ লিমিটেড, এ এন এফ ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড, কমার্স ব্যাংক সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট এবং পিএইচপি স্টকস অ্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেড।

এই প্রতিষ্ঠানগুলো ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত সময়ের নেট ক্যাপিটাল ব্যালেন্স রিপোর্ট স্টক এক্সচেঞ্জে দাখিল না করেই এই আইন লঙ্ঘন করেছে। এ জন্য সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭ এর রুলস ৩(৫) অনুযায়ী ট্রেকহোল্ডারদের বিরুদ্ধে ডিএসই কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তা আগামী ৫ দিনের মধ্যে কমিশনকে জানাতে বলা হয়েছে।