দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৪ আর্থিক আর্থিক খাতের কোম্পানিকে জরিমানা বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ। নগদ জমা সংরক্ষণ বা সিআরআর (ক্যাশ রিজার্ভ রিকোয়ারমেন্ট) সংরক্ষণে ব্যর্থ চার ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে (এনবিএফআই) জরিমানা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কোম্পানিগুলো হলো- ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স এবং ফার্স্ট ফাইন্যান্সকে। এরা সবাই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান।

এ বিষয়ে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালাককে (এমডি) চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাদের ৭ কর্মদিবসের মধ্যে জরিমানার অর্থ পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১০০ টাকা আমানতের বিপরীতে বিধিবদ্ধ জমা বা এসএলআর (স্টেটিউটরি লিক্যুইডিটি রেশিও) এবং নগদ জমার সংরক্ষণ বা সিআরআর হিসাবে পাঁচ টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে রাখতে হয়। এর মধ্যে আড়াই টাকা রাখতে হয় নগদে।

বাকি আড়াই টাকা সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ, অন্য ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রক্ষিত আমানত, সিআরআরের উদ্বৃত্ত অংশ দিয়ে সংরক্ষণ করা যায়। কোনো প্রতিষ্ঠান ব্যর্থ হলে প্রতিদিনের জন্য এক শতাংশ হারে জরিমানার বিধান রয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে চার প্রতিষ্ঠানের যে পরিমাণ সিআরআর ঘাটতি হয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী তাদের জরিমানার পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। কিন্ত বর্তমানে নানামুখী সংকটের কারণে এ পরিমাণ টাকা দেয়ার মতো সক্ষমতা প্রতিষ্ঠানগুলোর নেই। তাই বিশেষ বিবেচনায় মাত্র ১০ লাখ টাকা করে টোকেন জরিমানা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

জানা গেছে, গত বছরের জুলাই ও সেপ্টেম্বরের মধ্যে নগদ জমা রাখতে ব্যর্থ চার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংকটে রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস। প্রতিষ্ঠানটির আরোপযোগ্য জরিমানার পরিমাণ ছিল ২৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।

আলোচিত সময়ে এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের আরোপযোগ্য জরিমানার পরিমাণ ছিল ৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের সিআরআর ঘাটতির বিপরীতে জরিমানার অঙ্ক দাঁড়ায় ২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। ফার্স্ট ফাইন্যান্সের যে ঘাটতি বিপরীতে জরিমানা দাঁড়ায় ৬২ লাখ টাকা।