দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত জুলাই মাসে লেনদেন ১৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেড়েছে। গত মাসে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয় ৮ হাজার ৯৪৬ কোটি ৮৫ লাখ ৯০ হাজার ২৯৪ টাকা। যা তার আগের মাসে (জুন) লেনদেন ছিল ৭ হাজার ৬৫০ কোটি ১ লাখ ৩৩ হাজার ২১৯ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ২৯৬ কোটি ৮৪ লাখ ৫৭ হাজার ৭৫ টাকা বা ১৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

অপরদিকে গত মাসে লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করছে বিমা খাত। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৬ শতাংশ ৬০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ডিএসইর জুলাই মাসের লেনদেন পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যমতে, গত মাসে বিমা খাতে লেনদেন কিছুটা কমেছে। তারপরও আলোচ্য সময়ে খাতটি ডিএসইর মোট লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে। বিমা খাতে গত মাসে মোট ১৬ দশমিক ৬০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তার আগের মাসে (জুন,১৯) খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ লেনদেন হয়েছিল। জুলাই মাসে বিমা খাতে মোট ৪৭ কোটি ৯৭ লাখ ৩২ হাজার ৬৪৮টি শেয়ার লেনদেন করে। যার বাজার মূল্য ১ হাজার ৪৮৪ কোটি ৭৮ লাখ ১৫ হাজার ২৭০ টাকা।

এরপরে জুলাই মাসে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ফার্মাসিউটিক্যাল খাত। এই খাতে গত মাসের মোট লেনদেনের ১১ দশমিক ৬৯ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। খাতটিতে মোট ২২ কোটি ৭৮ লাখ ৯৮ হাজার ৯৩১টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ১ হাজার ৪৬ কোটি ২৯ লাখ ৯৯ হাজার ২৯৪ টাকা। এরপর তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্রকৌশলী খাত। খাতটিতে মোট ১১ দশমিক ১১ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এই খাতে মোট ১৪ কোটি ৯৫ লাখ ৩৯ হাজার ৭২১টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৯৯৪ কোটি ৭ লাখ ৫৮ হাজার ৪৭ টাকা।

গত মাসে অন্যান্য খাতগুলোতে ব্যাংক খাতে ৭ দশমিক ২৬ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এই খাতে মোট ৩৩ কোটি ৯১ লাখ ১৬ হাজার ৩৮৯টি শেয়ার লেনদেন হয়। যার বাজার মূল্য ৬৪৯ কোটি ২৩ লাখ ৩ হাজার ৩৫৪টাকা। আর্থিক খাতে ২ দশমিক ৬৯ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। যা মোট ১৬ কোটি ৮৭ লাখ ৮৪ হাজার ৯৮টি শেয়ার লেনদেন হয়। এবং যার বাজার মূল্য ২৪০ কোটি ৭৭ লাখ ৬১ হাজার ৯৮৪ টাকা।

মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা মোট ৮৯ কোটি ৭৮ লাখ ৫৪ হাজার ৫৪ হাজার ৮৭৯টি শেয়ার। এবং যার বাজার মূল্য ৭৮১ কোটি ৪১ লাখ ২৯ হাজার ৩৮৮ টাকা। খাদ্য খাতে ৩ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা মোট ৪ কোটি ৪১ লাখ ৯৯ হাজার ৯২৬টি শেয়ার, এবং যার বাজার মূল্য ২৮৬কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ৯৫৩ টাকা। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৬ দশমিক ৭১ শতাংশ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা মোট ৭ কোটি ৩৩ লাখ ৮১ হাজার ৭৬০টি শেয়ার, এবং যার বাজার মূল্য ৫৯৯ কোটি ৯৩ লাখ ৫২ হাজার ১৮৯ টাকা।

জুট খাতে দশমিক ২৯ শতাংশ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা মোট ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭২১টি শেয়ার, এবং যার বাজার মূল্য ২৫ কোটি ৬৫ লাখ ৭ হাজার ৪৩২ টাকা। টেক্সটাইল খাতে ১০ দশমিক ৮১ শতাংশ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা মোট ৪৬ কোটি ৫০ লাখ ১৫ হাজার ৫২১টি শেয়ার, এবং যার বাজার মূল্য ৯৬৭ কোটি ২২ লাখ ৩০ হাজার ৮৮৪ টাকা। পেপার এবং প্রিন্টিং খাতে দশমিক ৬৮ শতাংশ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা মোট ৯৭ লাখ ৬৩ হাজার ৩২৯টি শেয়ার, এবং যার বাজার মূল্য ৬১ কোটি ১৫ লাখ ৮৭ হাজার ৫৫৯ টাকা। সেবা এবং আবাসন খাতে দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা মোট ১ কোটি ৮৫ লাখ ২১ হাজার ৪০১টি শেয়ার, এবং যার বাজার মূল্য ৬২ কোটি ৭২ লাখ ৬৩ হাজার ৭৫১ টাকা।

এছাড়া সিমেন্ট খাতে দশমিক ৭৯ শতাংশ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা মোট ১ কোটি ২৪ লাখ ৫ হাজার ৪৪টি শেয়ার, এবং যার বাজার মূল্য ৭০ কোটি ২৫ লাখ ৫০ হাজার ১১৫ টাকা। আইটি খাতে ২ দশমিক ১৭ শতাংশ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা মোট ৪ কোটি ৮৫ লাখ ৭২ হাজার ৪৬০টি শেয়ার, এবং যার বাজার মূল্য ১৯৪ কোটি ৩২ লাখ ২৭ হাজার ৯২৬ টাকা। ট্যানারি খাতে ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা মোট ৮ কোটি ৫৬ লাখ ৯৬ হাজার ৪৭৯টি শেয়ার, এবং যার বাজার মূল্য ৩৯৬ কোটি ৬৭ লাখ ৮ হাজার ৩১৭ টাকা। সিরামিক খাতে ২ দশমিক ২৩ শতাংশ শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

যা মোট ১ কোটি ৯৮ লাখ ২ হাজার ৭৩৮টি শেয়ার, যার বাজার মূল্য ১৯৯ কোটি ৪৮ লাখ ২৭ হাজার ৬২১ টাকা। ভ্রমণ খাতে ২ দশমিক ৬১ শতাংশ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা মোট ১ কোটি ২২ লাখ ৭২ হাজার ১৪২টি শেয়ার, যার বাজার মূল্য ২৩৩ কোটি ৪৯ লাখ ৮৭ হাজার ১৭ টাকা, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ১ দশমিক ২৮ শতাংশ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা মোট ৬ কোটি ৪৪ লাখ ৭৭ হাজার ৪৪৫টি শেয়ার, যার বাজার মূল্য ১১৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৫০ টাকা এবং বিবিধ খাতে ৬ দশমিক ১ শতাংশ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা মোট ১৩ কোটি ৩২ লাখ ৭১ হাজার ৫৭১ টি শেয়ার, যার বাজার মূল্য ৫৩৭ কোটি ৮৩ লাখ ৫৫ হাজার ৯৭১ টাকা।

অপর দিকে জুলাই মাসে ডিএসইর মোট লেনদেনে অল্প সংখ্যক পরিমাণ লেনদেন করেছে বন্ড খাত। তাই শতাংশের দিক থেকে এ খাত কোনো অবদান রাখতে পারেনি। বন্ড খাতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৩৩৭টি শেয়ার, যার বাজার মূল্য ৩০ লাখ ৮০ হাজার ৮৭২ টাকা।