দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেনের বিরুদ্ধে শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। অভিযোগ রয়েছে, খায়রুল হোসেন দুর্বল কোম্পানির প্রাথমিক পাবলিক অফার (আইপিও) অনুমোদন করে শেয়ারবাজারে বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচার করেছেন।

এমন অভিযোগে চলতি মাসের প্রথম দিকে প্রাথমিক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সংস্থাটির এক সহকারী পরিচালককে। যদিও এ বিষয়ে দুদক আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে অস্বীকার করেছে।

অভিযোগ রয়েছে, খায়রুল হোসেনের আট বছরের মেয়াদে প্রায় ৮৮টি আইপিও অনুমোদিত হয়। যার প্রায় অর্ধশত নিন্মমানের বলে অভিযোগ ওঠে। তার সময়ে বেশ কয়েকটি নিন্মমানের কোম্পানি মিথ্যা তথ্য দিয়ে বার্ষিক আর্থিক বিবরণীতে উচ্চ মুনাফা দেখিয়ে সিকিউরিটিজ রেগুলেটরে আইপিও অনুমোদন করিয়ে নেয়। তালিকাভুক্ত হওয়ার পরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সংস্থার শেয়ারের সূচক নিচের দিকে যেতে শুরু করে। কোম্পানিগুলোর পূর্ববর্তী আয়ের রিপোর্টগুলো জাল ছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে।

বাজার বিশ্লেষনে জানা যায়, গত তিন মাসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বেঞ্চমার্ক ইনডেক্স, ডিএসইএক্স ৬০০ পয়েন্ট হ্রাস পেয়েছে। যেখানে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা শেয়ারের বাজারমূল্য কমেছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে মূল সূচকের অব্যাহত পতনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভ করে আসছে।

বিক্ষোভ চলাকালে ক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা বিএসইসির চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেনের পদত্যাগও দাবি করেছিলেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে খায়রুল হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। আমি কোনো কাগজপত্র হাতে পাইনি। তবে এটুকু বলতে পারি, বাজারে অনেক কথাবার্তা থাকতে পারে। কোনো সিদ্ধান্ত চেয়ারম্যান হিসেবে এককভাবে নেয়া হয় না। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হয়ে থাকে। সুত্র: রাইজিংবিডি