আলী জামান: পুঁজিবাজার এখন আমাজান জঙ্গলের মতো উত্তপ্ত। নিয়ন্ত্রণহীন এই পুঁজিবাজার থেকে মানুষ এখন আর পুঁজি ফেরতের কথা ভাবছে না, প্রান বাঁচানোর কথা ভাবছে। অর্থমন্ত্রী যতই বলুক,শেয়ার বাজার ঠিকমত চলছে-আদতে সেভাবে চলছে না। এই মুহুর্তে পুঁজিবাজারে মুল্য পতনের তেমন কোন কারন না থাকলেও, বাজারের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি সিন্ডিকেট করে, শেয়ারের ক্রমাগত মুল্যপতন ঘটাচ্ছে।

এই অবস্থা কেন? কেন তারা মুল্যপতন ঘটাচ্ছে?

১। বিএসইসি থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে,যাদের কাছে ২ শতাংশ শেয়ার নেই তারা পরিচালক পদে থাকতে পারবে না।আর যাদের কাছে সমষ্টিগতভাবে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ শেয়ার নেই,তারা কোম্পানীর পরিচালকমণ্ডলী গঠন করতে পারবেনা।এই ব্যক্তিদের কাছে একসময় প্রয়োজনীয় সংখক শেয়ার ছিল।তাদের কাছে থাকা শেয়ার গুলি বেশীদামে বিক্রি করে দিয়ে কম দামে সেগুলি কেনার উদ্দেশ্য নিয়ে- পরিকল্পিতভাবে মুল্য পতন ঘটাচ্ছে।

২।আর এক গ্রুপের টার্গেট, যারা বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে শেয়ার কিনেছে,তাদের শেয়ার গুলি ফোর্সড সেলের আওতায় ফেলে,সেই শেয়ারগুলি পানির দামে কিনে নেয়া।এরফলে তারা লাভবান হলেও,বিনিয়োগকারীরা স্রেফ সর্বশান্ত হবে।

অথচ এই সব সাধারন বিনিয়োগকারীরা জুয়াড়ী মনোভাবাপন্ন নয়।এরা বিচার বিশ্লেষণ করেই- ভাল দামে শেয়ারে বিনিয়োগ করেছে।
ইন্ডিভিজুয়াল শেয়ার প্রাইসের দিকে দৃষ্টি দিলে,আমার কথার সত্যতা মিলবে। তাই প্রধানমন্ত্রীর নিকট অনুরোধ, আপনার নিজস্ব টিম দিয়ে আমার কথার সত্যতা যাচাই করুন।সঠিক মনে করলে, অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।