দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সাথে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বৈঠক থেকে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। আজ বৃহস্পতিবার বিএসইসির সাথে সাক্ষাৎ করেন ডিএসই, সিএসই ও ডিবিএ।

সূত্র মতে, সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ রুলস ১৯৮৭ এর সংশোধনী, এক্সচেঞ্জের বার্ষিক ফি ২০ লাখ টাকা এবং প্যানেলভুক্ত নিরীক্ষকদের মাধ্যমে সকলের আর্থিক প্রতিবেদন নিরীক্ষা করানোসহ আরো বেশকিছু বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হয়। তবে আলোচনার মাধ্যমে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি।

আজ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ রুলস ১৯৮৭ এর সংশোধনী নিয়ে ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করা হয়। যা কমিশন গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন। এ বিষয়ে আরও একদিন বৈঠক করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বৈঠক কবে করা হবে সে বিষয়ে পরে বিএসইসি থেকে ডিএসই, সিএসই ও ডিবিএ কে জানিয়ে দেয়া হবে।

পরবর্তীতে বৈঠকে আলোচনার পর সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ রুলস ১৯৮৭ এর সংশোধনীর জন্য জাতীয় পত্রিকায় পাবলিক মতামতের জন্য একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। সেই প্রজ্ঞাপনের সময় শেষ হওয়ার পর সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ রুলস ১৯৮৭ এর সংশোধনীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বিএসইসি।

অপরদিকে ডিএসই পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমনের সঙ্গে নিজস্ব কার্যালয়ে সাক্ষাতকালে বিএসইসি চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন জানান, বিনিয়োগসীমা অনুসারে ব্যাংকগুলোকে আগামি সপ্তাহ থেকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য উৎসাহ প্রদান ও আহ্বান করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আর এই উৎসাহ ও আহবানের সুফল পুঁজিবাজারে আগামি সপ্তাহ থেকে পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান।

পরিচালক ইমন বলেন, গত বুধবার অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান। এসময় অর্থমন্ত্রী জানান, তিনি পুঁজিবাজার নিয়ে সজাগ আছেন। সবসময় খোঁজ খবর রাখেন। এরইমধ্যে পুঁজিবাজারের চলমান তারল্য সংকট কাটাতে ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগসীমা অনুযায়ী বিনিয়োগের জন্য উৎসাহ ও আহবান করেছেন। এছাড়া বিএসইসি চেয়ারম্যানের সামনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণরকে এ বিষয়ে করণীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী একইসঙ্গে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সকল পদক্ষেপ নেবেন বলে বিএসইসির চেয়ারম্যানকে আশ্বস্ত করেছেন।

বিএসইসি চেয়ারম্যানকে উদ্ধৃত করে ইমন বলেন, পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বর্তমানে গড়ে বিনিয়োগসীমার ১৭ শতাংশের নিচে বিনিয়োগ রয়েছে। এক্ষেত্রে অনেক ব্যাংকের বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে। আর ওইসব ব্যাংকগুলোকেই বিনিয়োগের জন্য আহবান করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ রুলস ১৯৮৭ এর সংশোধনী, এক্সচেঞ্জের বার্ষিক ফি ২০ লাখ টাকা এবং প্যানেলভুক্ত নিরীক্ষকদের মাধ্যমে সকলের আর্থিক প্রতিবেদন নিরীক্ষা করানোসহ আরো বেশকিছু বিষয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরতে তিন প্রতিষ্ঠানকেই চিঠি দেয় বিএসইসি।