দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ৯০ এর দশকের শুরুতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন গঠিত হওয়ার পর বিভিন্ন আইনী কাঠামো তৈরি হয়। সেই সাথে বিএসইসির সঠিক পদক্ষেপে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ অক্ষুন্ন রেখে সময়ের সাথে সাথে লিস্টিং পদ্ধতির প্রয়োজনীয় সংশোধন ও সংযোজন হয়েছে বলে জানান ডিএসই’র পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন ৷ ডিএসই ট্রেনিং একাডেমিতে আয়োজিত ২ দিন ব্যাপী ‘ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং (আইপিও): প্রসেসেস এন্ড প্রসিডিউরস’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী দিনে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএসই পরিচালক বলেন, বিনিয়োগকারীদের সুবিধা হচ্ছে পাঠদান কর্মসূচি বা এইসব ট্রেনিংয়ে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আইপিও’র কর্মপ্রক্রিয়া এবং পদ্ধতি সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করতে পারছে৷ ৮০’র দশকে যখন শেয়ার বেচাকেনা হতো তখন এইসব কাঠামোগত বিষয়, আইন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা ছিল না ৷ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ নিয়ন্ত্রক সংস্থার পরামর্শে বিভিন্ন ধরণের শিক্ষামূলক কার্যক্রম প্রদান করছে।

তিনি বলেন, আপনারা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে আপনারা এইসব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আপনাদের জ্ঞান-ভান্ডার সম্মৃদ্ধ করার সুযোগ পাচ্ছেন। বিশ্বের বিভিন্ন স্টক এক্সচেঞ্জের যে সমস্ত প্রকাশনা ছিল সেগুলো পড়ার বা বোঝার মতো জ্ঞান ছিল না৷ এখন সকলের জন্য সেই দরজা উন্মুক্ত। পেপার পড়ে, অনলাইনে তথ্য পেয়ে, ওয়েবসাইট ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও এক্সচেঞ্জের আইন সবই পাওয়া যায়। যা থেকে সহজেই যেকোনো প্রয়োজনীয় তথ্য সহজেই পাওয়া যায়।

তিনি আরও বলেন, আগে যখন আইপিও অনুষ্ঠিত হতো তখন গুটি কয়েক ব্যক্তি আবেদন করতেন৷ তখন মনে করা হতো কিভাবে আবেদন করা যায় তা জানতে পারলেই চলবে। কিন্ত এখন আইপিও প্রসিডিওর কি, আইপিও কিভাবে আসছে, রিকয়রমেন্ট কি, কার্যক্রম কি, আইনের কাঠামো কি, মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি কি, লেনদেন কিভাবে হবে, এর কার্যপ্রণালী কি, এসব বিশদ বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। এসব সম্পর্কে জ্ঞান থাকাটা সময়োপযোগী বিষয়৷