দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: অধ্যাপক আবু আহম্মেদ। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ছিলেন। পুঁজিবাজারের চলমান বিষয় নিয়ে দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণের সাথে আলাপকালে নানা সমস্যার কথাও তুলে ধরেন। পুঁজিবাজারে দরপতনের মুল কারন ছিল তারল্য সঙ্কট। তারল্য সঙ্কট তীব্র আকার ধারণ করায় দরপতন ত্বরান্বিত হয়েছে। তারল্য সংকটের অবস্থা দীর্ঘদিন চলতে থাকায় বিনিয়োগকারীরা বাজারের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও বাজারে বিনিয়োগের ফান্ড সঙ্কটে পড়ে।

এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে নির্দেশনা জারি করেছে, তাতে বাজারে তারল্য সঙ্কট দূর হবে। ধীরে ধীরে বিনিয়োগ বাড়বে। এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসবে বলে মনে করেন তিনি। পাশাপাশি ব্যাংকগুলো তাদের বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে সক্ষম হবে। যার মাধ্যমে পুঁজিবাজারে গতি ফিরে আসবে।

গত রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বর্তমানে অধিকাংশ ব্যাংকের অগ্রিম ও আমানতের অনুপাত নির্ধারিত মাত্রা অপেক্ষা কম এবং এসএলআর সংরক্ষণের পর অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে। এসব ব্যাংকের জন্য আইনি সীমার মধ্যে থেকে পুঁজিবাজারে মৌলভিত্তিক ইন্সট্রুমেন্টে বিনিয়োগের যথেষ্ট সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে।

ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ব্যাংকসমূহের এরূপ বিনিয়োগে অংশগ্রহণ (নিজস্ব পোর্টফোলিওতে সরাসরি বিনিয়োগ অথবা সাবসিডিয়ারী কোম্পানিতে ঋণ প্রদানকরতঃ উক্ত কোম্পানির নিজস্ব পোর্টফোলিওর আকার বৃদ্ধির মাধ্যমে পরোক্ষ বিনিয়োগ) পুঁজিবাজারে তারল্য সরবরাহ বৃদ্ধির পাশাপাশি একটি গতিশীল পুঁজিবাজার নিশ্চিত করতে সহায়ক ভ‚মিকা রাখতে পারে।