দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে।গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসে দেশের পুঁজিবাজারে মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে দাম কমেছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহের তিন কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে পতন হওয়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্সসহ বাকি দুটি সূচকেরও পতন হয়েছে। সূচকের এই পতনের মধ্যে বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৫৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এতে কমেছে ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাতও।

গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৩ দশমিক ৩৪ পয়েন্টে। যা সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে দাঁড়ায় ১৩ দশমিক ৩১ পয়েন্টে। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত কমেছে দশমিক শূন্য ৩ পয়েন্ট বা দশমিক ২২ শতাংশ।

খাত ভিত্তিক তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, বরাবরের মতো সব থেকে কম পিই রেশিও রয়েছে ব্যাংক খাতের। সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭ দশমিক ৩২ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৭ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ব্যাংক খাতের পিই কমেছে দশমিক শূন্য ৩ পয়েন্ট।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের পিই ১৭ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট থেকে কমে ১১ দশমিক ৬৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর পরের স্থানে রয়েছে বীমা খাত। এ খাতের পিই ১৩ দশমিক ৪২ পয়েন্ট থেকে কমে ১২ দশমিক ৫৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

এছাড়া টেলিযোগাযোগ খাতের পিই রিশিও ১৩ দশমিক ৫০ পয়েন্টে থেকে কমে ১২ দশমিক ৯৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রকৌশল খাতের ১৪ দশমিক শূন্য ৩ পয়েন্ট থেকে কমে ১৩ দশমিক ৭৭ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ১৩ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট থেকে কমে ১৩ দশমিক ৫০ পয়েন্টে এবং সেবা ও আবাসন খাতের পিই ১৫ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট থেকে কমে ১৪ দশমিক ৭০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

২০-এর নিচে পিই থাকা অন্য খাতগুলোর মধ্যে খাদ্য খাতের ১৬ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট থেকে কমে ১৬ দশমিক ২০ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৭ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট থেকে কমে ১৭ দশমিক ৬৬ পয়েন্টে, তথ্যপ্রযুক্তি ১৭ দশমিক ৬৯ পয়েন্টে থেকে বেড়ে ১৭ দশমিক ৯৭ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ১৮ দশমিক ২৩ পয়েন্ট থেকে কমে ১৮ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্টে এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ২০ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট থেকে কমে ১৯ দশমিক ৯৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

বাকি খাতগুলোর পিইও রেশিও ২০ পয়েন্টের ওপরে। এর মধ্যে- সিরামিক খাতের ২০ দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ২১ দশমিক ২৯ পয়েন্টে, চামড়া খাতের ২০ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট থেকে কমে ২০ দশমিক ৮৭ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ২৩ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট থেকে কমে ২৩ দশমিক ৬১ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ২৬ দশমিক ২৪ পয়েন্ট থেকে কমে ২৫ দশমিক ৮৭ পয়েন্টে, পেপার খাতের ২৮ দশমিক শূন্য ৭ পয়েন্ট থেকে কমে ২৬ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে এবং পাট খাতের ৪৪২ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট থেকে কমে ৪১৪ দশমিক শূন্য ৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।