দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: হামদর্দ। ১৯৭৭ সালে ঢাকার তেজকুণি পাড়ার জরাজীর্ণ একটি ভবন থেকে যার পথচলা। মাত্র ৫০ হাজার টাকার মূলধন, একটি সাইকেল আর ৩ লাখ টাকার দায়দেনা থেকে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি এখন ১০ হাজার কোটি টাকায় পরিণত হয়েছে।

একজন বিক্রয় প্রতিনিধি হাকিম মো: ইউসুফ হারুন ভূঁইয়া মোতাওয়াল্লীর দায়িত্ব পালন করে ধাপে ধাপে হামদর্দকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নের একটি আদর্শিক বহুমুখী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন। সম্ভবত একারণেই বঙ্গবন্ধুর দুশমনরা হামদর্দ ও এর কর্ণধারের বিরুদ্ধে নানা অপতৎপরতার গন্ধ পান। নিজেরা একে একে চমক সৃস্টি করা গল্প বুনেন । লিখেছেন মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক

শুরু থেকে হামদর্দ প্রতিকূল পরিস্থিতিকে পায়ে দলে লক্ষ্যপানে এগুতে থাকে। ৩১ জন শ্রমিক-কর্মচারী নিয়ে হামদর্দ এগিয়ে চলে দুর্বার গতিতে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা তথা মানবতার কল্যাণে হামদর্দের নিবেদিত প্রাণ কর্মীরা বিলিয়ে দেন নিজেদেরকে। কোন অপশক্তির কাছে মাথা নোয়াবার পাত্র নয় হামদর্দ। এর কর্মীরা মানবতার মহানব্রতকে সামনে রেখে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে চলছে।

বঙ্গবন্ধুর আজীবনের স্বপ্ন ছিলো ক্ষুধা, দারিদ্র ও নিরক্ষরতামুক্ত এবং সুস্থ সবল জাতি গঠন । এ কাজটি সুচিন্তিত, সুপরিকল্পিত ও সুদূরপ্রসারী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে হামদর্দ। দেশকে নিরক্ষর মুক্ত করতে ১৭টি নিরক্ষরতা দূরিকরণ প্রকল্প পরিচালনাসহ হামদর্দ ফাউণ্ডেশনের পক্ষ থেকে গরীব, মেধাবী ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের বিশেষ বৃত্তিপ্রদানের কারণে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি লাভবান হচ্ছে।

একই সাথে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। সারাদেশে হামদর্দের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা,কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা, গুণগতমান সম্মত ঔষধ উৎপাদন এবং রপ্তানী করে চলছে। আর এ কারণেই মিডিয়ায় অপশক্তি হামদর্দকে থামাতে ঘরের শত্রু দিয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালককে মানবতার অপরাধী বানানোর গল্প বুনে চলছে।