দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা : পিপলস লিজিং এন্ড ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের (পিএলএসএফ) এ আমানতকারীদের সঞ্চয় ফেরত পাওয়া নিয়ে আশার বানী শোনাতে পারলেন না বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরও। আমানতকারীদের একটি প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ে গভর্নরের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তিনি পিপলস লিজিংয়ের সংকটের কথা শুনেন। জবাবে আমানতকারীদের সঞ্চয় ফেরত পাওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতার কথা তুলে ধরেন তিনি।

গভর্নর ফজলে কবির বলেন, পিপলস লিজিংকে অবসায়ন না করে, অন্য কোনভাবেই আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেবার আর কোন উপায় ছিল না। পিপলস লিজিং-এর যারা এই অপকর্মের সাথে জড়িত তাদেরকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

সঞ্চয় ফেরত পাওয়ার বিষয়ে পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে পিপলস লিজিং-এর দেয়া ঋণ থেকে আদায়কৃত অর্থ অবসায়কের একটি একাউন্টে মাত্র এক কোটি টাকা জমা পড়েছে। আরো কিছু অর্থ জমা হলে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে আমানতকরীদের জমা টাকা আনুপাতিক হারে ফেরত প্রদানের প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে। এক্ষত্রে প্রথমেই আমানতকারীদের অর্থ ফেরত প্রদান করা হবে। তবে সময় লাগলেও টাকা ফেরত পাওয়া যাবে বলে গভর্নর প্রতিনিধিদের আশস্ত করেন।

আমানতকারীদের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকা মোহাম্মাদ আনোয়ারুল হক বলেন যে, আমরা জানি না আমরা কি এই জীবদবদশায় আমাদের সঞ্চয় ফেরত পাব কি না।

তিনি আরও বলেন যে, পিপলস লিজিং এ ক্ষুদ্র আমানতকারীরা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ রেখে এখন তা ফেরত না পেয়ে চরম অসহায় অবস্থায় দিন যাপন করছে। তারা কোথায় গেলে এই টাকা ফেরত পাবে তার কোন নিশ্চয়তা পাচ্ছেন না। এই টাকা থেকে অনেক অবসরপ্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের সংসারের ব্যয় নির্বাহ হত, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া চলতো, চিকিৎসা ব্যয় হত। আজ তা সব বন্ধ। ইতিমধ্যে একজন আমানতকারী টাকা ফেরত পাবার অনিশ্চয়তার কারণে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু বরণ করেছেন, একজন ক্যান্সার আক্রান্ত আমানতকারী যার পাঁচ বছরের মেয়ে আছে, অর্থাভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করাতে পারছেন না। এ সময় বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে পিপলস জিংয়ে আমানতকারীরা অর্থমন্ত্রীর সঙ্গেও জরুরিভাবে সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত নেন।