দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৪ কোম্পানিতে বিদেশি বা প্রবাসী বাংলাদেশিদের শেয়ার ধারণ গত সেপ্টেম্বরে বেড়েছে। এ সময়ে ৪৪ কোম্পানি থেকে কমেছে। গত মাসে ডিএসইর মাধ্যমে বিদেশিরা প্রায় ২৫৮ কোটি টাকার শেয়ার কেনার বিপরীতে ৩১৮ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছেন। তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো সম্প্রতি শেয়ারহোল্ডারদের ধরন অনুযায়ী শেয়ার ধারণের যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তা পর্যালোচনায় বিদেশিদের শেয়ার ধারণের এমন তথ্য মিলেছে। তালিকাভুক্ত ৩১৯ কোম্পানির মধ্যে গতকাল শনিবার পর্যন্ত ৩১৪টি সেপ্টেম্বর শেষের শেয়ার ধারণের তথ্য প্রকাশ করেছে।

বৃদ্ধির শীর্ষে: গত আগস্টের শেষেও প্রিমিয়ার ব্যাংকে বিদেশি বা প্রবাসীদের শেয়ার ছিল না। তবে সেপ্টেম্বর শেষে মালিকানার ৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ এখন তাদের। এ শেয়ার এসেছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে। আগস্ট শেষে ব্যাংকটির মালিকানায় বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানের অংশ ছিল মোটের ১৯ দশমিক ০৩ শতাংশ, যা ৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশে। এমন পরিবর্তনের পরও সেপ্টেম্বরে ব্যাংকটির শেয়ারদর ১১ শতাংশ বেড়েছিল।

শেয়ার ধারণের হার বৃদ্ধির দিক থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে ছিল ব্র্যাক ব্যাংক। ব্যাংকটিতে বিদেশিদের শেয়ার ধারণের হার শূন্য দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়ে ৪৩ দশমিক ৪২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। তৃতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে থাকা জেমিনি সি ফুডসে শেয়ার ধারণের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশে। চতুর্থ অবস্থানে থাকা গ্রামীণফোনের মোট শেয়ারে বিদেশিদের অংশ শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়ে ৪ দশমিক ০৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। পঞ্চম অবস্থানে থাকা রেনেটায় শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ বেড়ে মোটের ২২ দশমিক ৪১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

কমায় শীর্ষে: গত মাসে প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স থেকে বিদেশি বা প্রবাসীদের শেয়ার ধারণের হার কমেছিল সবচেয়ে বেশি। আগস্টে শেষেও কোম্পানিটিতে তাদের ধারণ করা শেয়ার ছিল মোটের ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ। সেপ্টেম্বরের শেষে পুরোটাই খালি হয়েছে। অর্থাৎ বিদেশি বা প্রবাসীরা তাদের পুরো শেয়ার বিক্রি করেন। তারপরও গত মাসে শেয়ারটির দর ১৭ শতাংশ বেড়েছিল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে ছিল লংকাবাংলা। আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি থেকে বিদেশি বা প্রবাসীদের শেয়ার ধারণের হার ১ দশমিক ২২ শতাংশ কমে ২ দশমিক ৭৪ শতাংশে নেমেছে।

তৃতীয় অবস্থানে থাকা রূপালী লাইফ থেকে শূন্য দশমিক ৯৫ শতাংশ কমে ২ দশমিক ১০ শতাংশে নেমেছে। চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে থাকা রূপালী ইন্স্যুরেন্স থেকে শূন্য দশমিক ৮৪ শতাংশ কমে ১ দশমিক ৯৮ শতাংশে এবং ফনিক্স ফাইন্যান্স থেকে শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ কমে শূন্য দশমিক ০৬ শতাংশে নেমেছিল।

আরও যেসব কোম্পানি থেকে শেয়ার কমেছে, সেগুলো হলো- ডিবিএইচ, স্কয়ার ফার্মা, আইডিএলসি, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স, মালেক স্পিনিং, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, পাওয়ার গ্রিড, বেক্সিমকো ফার্মা, ওরিয়ন ফার্মা ইত্যাদি।