দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা : পুঁজিবাজারে সবচেয়ে বেশি দামে বেচাকেনা হচ্ছে বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ার। কিন্তু এসব কোম্পানি থেকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা তাদের কিছু বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। শুধু প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাই নয়, কিছু কোম্পানি থেকে বিদেশীরাও বিনিয়োগ কমিয়েছে।

তথ্যমতে, বর্তমানে বাজারে সবচেয়ে দামী শেয়ার রেকিট বেনকিজার (বিডি) লিমিটেড’। কোম্পানিটির শেয়ার মঙ্গলবার সর্বশেষ ২ হাজার ২২৪ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। কোম্পানির মোট ৪৭ লাখ ২৫ হাজার শেয়ার।

এর মধ্যে ৮২ দশমিক ৯৬ শতাংশ বা ৩৯ লাখ ১৯ হাজার ৮৬০টি শেয়ার উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। গত সেপ্টেম্বর শেষে ৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ বা ১ লাখ ৭২ হাজার ৯৩৫টি শেয়ার আছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিকট। অথচ আগস্টে কোম্পানির ৪ দশমিক ৪২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছিল প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। এক মাসের ব্যবধানে দশমিক ৭৬ শতাংশ শেয়ার ছেড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা।

ডিএসইর সেপ্টেম্বরের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, বহুজাতিক আটটি কোম্পানির মধ্যে চারটি থেকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে, দুইটির অপরিবর্তিত আছে। এছাড়া ২টি কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ সামান্য বেড়েছে। এদিকে, তালিকাভুক্ত ৮টি বহুজাতিক কোম্পানির মধ্যে ৩টির বিদেশী বিনিয়োগ কমেছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমা বহুজাতিক কোম্পানিগুলো হচ্ছে – ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড, গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) বাংলাদেশ লিমিটেড ও গ্রামীণফোন।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানিগুলো শতাংশের হারে বেশি লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের দেয়। সেই হিসাবে এসব কোম্পানিগুলোকে ঘিরে বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন আকাশচুম্বী। তবে প্রকৃতপক্ষে এসব প্রতিষ্ঠান যে লভ্যাংশ দিয়ে থাকে তার প্রকৃত মুনাফা (ইল্ড) তুলনামূলকভাবে অনেক কম। ফলে বিনিয়োগকারীরা ডিভিডেন্ড গেইন থেকে বঞ্চিত হয়।

এসব কোম্পানি থেকে ক্যাপিটাল গেইনের সুযোগ বিনিয়োগকারীদের রয়েছে। তবে দীর্ঘমন্দা বাজারে অন্যান্য কোম্পানির মতো বহুজাতিক কোম্পানির দরেও পতন হয়েছে। বাজারে ধারাবাহিক পতন অব্যাহত থাকার আশঙ্কায় অনেকে এসব কোম্পানির শেয়ার ছেড়ে দিয়েছে।