দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির প্রথম দু’দিন লেনদেনে ৫০ শতাংশ হারে সার্কিট ব্রেকারের প্রস্তাব করেছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পর্ষদ। উল্লেখ্য, গত ৯ বছর ধরে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেন হওয়ার প্রথম দু-তিন দিন অস্বাভাকিব হারে বাড়ে। এরপর কমে ফেসভ্যালুর নিচে চলে আসে।তাতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এই সঙ্গে নতুন ও পুরাতন কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেশ কিছু উদ্যোক্তা ও প্লেসমেন্টধারী একই ব্যক্তি বলে অভিযোগ উঠেছে। ডিএসইর তাদের শেয়ার কেনা-বেচাতে ৩ বছরের লক ইন আরোপ করার প্রস্তাব করে।

গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর পর্ষদ ও ডিএসই ব্রোকারের্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকে এই প্রস্তাব করা হয়। বৈঠকে ডিএসইর চার শেয়ারহাল্ডার পরিচালক রকিবুর রহমান, শরীফ আতাউর রহমান, মিনহাজ মান্নান ইমন, হানিফ ভূঁইয়া ও স্বতন্ত্র পরিচালক মাসুদুর রহমান এবং ডিএসই ব্রোকারের্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি শাকিল রিজভী উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণকে নিশ্চিত করেছেন ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন।

তিনি বলেন, নতুন কোম্পানিগুলোর লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রথম দিন ৫০ শতাংশ। দ্বিতীয় দিন আরও ৫০ শতাংশ হাওে (প্রথমদিন সর্বোচ্চ ১৫ এবং দ্বিতীয় দিন সর্বোচ্চ ২২টাকা লেনদেন হবে) সার্কিট ব্রেকার আরোপের জন্য বলেছি।তারপর থেকে স্বাভাবিক ভাবে লেনদনে হবে। এ বিষয়ে সম্মতি জ্ঞাপন করেছে।

তিনি বলেন, আইপিওতে আসা কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা ও প্লেসমেন্টধারী একই ব্যক্তি হয়। এক্ষেত্রে কমিশনের সিদ্ধান্ত হচ্ছে ‘প্লেসমেন্টধারীদের শেয়ার বিক্রিতে ৩ বছর লক ইন আরোপ করা হবে। তবে এটি প্রমাণিত হতে হবে। আইপিও ব্যবসা কিছু সংখ্যক ইস্যু ম্যানেজার ও মাচেন্ট ব্যাংকের বৃত্তে আটকে আছে। যা বাজারের জন্য সুস্থ্য লক্ষণ না বলে ডিএসই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

এর প্রেক্ষিতে কমিশন বলেন, অল্প কিছু সংখ্যক ইস্যু ম্যানেজার ও অডিটরের বৃত্তে বাজারের সকল আইপিওর অনুমোদন। কমিশন তাদের বিষয়ে সতর্ক ও সচেতন রয়েছে। সামনে যে সকল মাচেন্ট ব্যাংক আইপিও আনছে না, তাদেরকে সতর্ক করা হবে।তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।