দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের কোম্পানি কনফিডেন্স সিমেন্ট ডিভিডেন্ড দিয়ে শোকজের কবলে পড়ছে। তালিকাভুক্ত প্রতিটি কোম্পানির পরিচালকদের এককভাবে দুই শতাংশ এবং সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ ধারণ করার নির্দেশনা রয়েছে। এছাড়া পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ না করলে রাইট শেয়ার, আরপিও, বোনাস শেয়ার, একীভূতকরণের মাধ্যমে মূলধন বৃদ্ধি করতে পারবে না বলে গত ২১ মে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কিন্তু তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের কোম্পানি কনফিডেন্স সিমেন্টের পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন,২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ডের পাশাপাশি ১৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দেওয়ার সুপারিশ করে। অন্যদিকে কোম্পানিটির পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে শেয়ার ধারণের পরিমাণ ২৯.৮৮ শতাংশ। অর্থাৎ ৩০ শতাংশের প্রায় কাছাকাছি হলেও এর নিচে। তাই পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশের নিচে থাকা স্বত্ত্বেও বোনাস শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে মূলধন বৃদ্ধি কেন করা হবে তা জানতে আজ ২৭ অক্টোবর কনফিডেন্স সিমেন্টকে শোকজ করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ।

অবশ্য পরিচালকদের ৩০ শতাংশ শেয়ার সম্পূর্ণ করতে আজই কনফিডেন্স সিমেন্টের করপোরেট পরিচালক কনফিডেন্স স্টীল লিমিটেড ১ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছে। এই পরিমান শেয়ার বর্তমান বাজার দরে স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে পাবলিক মার্কেট থেকে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে কেনা হবে। এই ১ লাখ শেয়ার কেনা হলে কনফিডেন্স সিমেন্টের পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ধারণকৃত শেয়ার ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। অর্থাৎ বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যার পরিমাণ ৬ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ৬৬৯টি। এর ০.১৫ শতাংশ শেয়ারের পরিমাণ ১ লাখ। অন্যদিকে বর্তমানে কোম্পানির পরিচালকদের মোট শেয়ার ধারণ ২৯.৮৮ শতাংশ। ১ লাখ শেয়ার কেনার পর পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ধারণকৃত শেয়ারের পরিমাণ দাঁড়াবে ৩০.০৩ শতাংশ। তাই কনফিডেন্স সিমেন্টের পরিচালকদের সুপারিশকৃত ১৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার প্রদানে কোন বাধা থাকবে না।