মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা : ক্লিন ইমেজ ও দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ সাবেক জনপ্রিয় ছাত্রনেতা ও কর্মীদের নেতৃত্বের আসনে অধিষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। এক্ষেত্রে ১/১১ পূর্ববতী এবং পরবর্তী সকল আন্দোলন সংগ্রামসহ তৃণমূলে আম-জনতার কাছে গ্রহণযোগ্য ও আস্থা-বিশ্বাসে বলীয়ান নেতা-কর্মীদের প্রথম পছন্দের ভিত্তিতে নেতৃত্বের আসনে এনে দলের সকল অংগ সংগঠনকে সাজানো হবে। খবর আ’লীগের হাইকমান্ডের বিশ্বস্ত সূত্র।

সূত্র জানায়, স্বেচ্ছাসেবক লীগে শুদ্ধি অভিযানের পর এ সংগঠনটির কেন্দ্রিয় নেতৃত্ব নির্বাচিত করার তাগিদ দেয়া হয় শীর্ষ পর্যায় থেকে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ১১ নভেম্বর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সম্মেলন। এ সম্মেলন থেকেই আওয়ামীলীগ পরিচ্ছন্ন রাজনীতির নব ধারার সূচনা করবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার মানুষ, সাচ্চা দেশপ্রেমিক, ত্যাগী, লড়াকু ও জননন্দিতদের নির্বাচিত করা হবে বলে হাইকমান্ড নিশ্চিত করেছে। স্বেচ্ছাসেবক লীগ দক্ষিণে সৎ, যোগ্য, দক্ষ এবং দু:সময়ে দলের হাল ধরে দলীয় কর্মকান্ড নিয়োজিত থাকাদের সভানেত্রী শেখ হাসিনাও পছন্দের তালিকায় রেখেছেন। সূত্র এমনই সত্যের কথা জানিয়ে বলেছেন, দলকে সুসংগঠিত করতে সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে কোন ছাড় দেবেন না তিনি।

সূত্রের দেয়া তথ্য মতে আরো জানা যায়, দলের একটি কমিটি অত্যন্ত গোপনীয়ভাবে সাবেক জনপ্রিয় ছাত্র নেতাদের সার্বিক কর্মকান্ডের সব খবর সংগ্রহ করে যোগ্যতার মাপকাঠির ভিত্তিতে তাদের একটি তালিকা প্রস্তুত করেছে। অপরদিকে গোয়েন্দারাও তাদের রিপোর্ট তৈরী করে তালিকা প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রদান করেছে।

স্বেচ্ছাসেবকলীগ দক্ষিণে সভাপতির পদে এগিয়ে আছেন সাবেক জনপ্রিয় ছাত্রনেতা মো: কামরূল হাসান রিপন। যিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি। রিপন জগন্নাথের সভাপতি পদে থাকাকালে ২০০৩ থেকে নেত্রী ১/১১ মুক্তি আন্দোলন ও বিএনপি জামায়াত জোটের দু:শাসনের বিরুদ্ধে সংগঠিত আন্দোলন সংগ্রামের রাজপথের এক মহানায়ক।

এদিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগে বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক এ.বি.এম আহম্মাদ উল্লাহ (পপ্পি), মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ডালিম সরকারের নামও সভাপতি পদে থাকছে বলে জোরালো ভাবে আলোচিত হচ্ছে। এবং সাধারন সম্পাদক পদে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আনিসুজ্জামান রানা।

যিনি ইতিপুর্বে বহু আন্দোলনে সফলতার স্বাক্ষর রেখে আ’লীগের শীর্ষ পর্যায়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন। তেমনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগকে সুংসগঠিত ও গতিশীল করতে বিশেষ অবদান রেখেছেন। এছাড়া সাধারন সম্পাদক পদে যাদের নাম গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, স্বেচ্ছাসেবকলীগের বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারেক হাসান সাঈদ, সাগর আহম্মেদ শাহীন। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে মহানগরের আওতাধীন থানা ও ওয়ার্ডগুলোতেও উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কামরুল হাসান রিপন বলেন, “অতীতে ছাত্রলীগের দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে যেকোন পরিস্থিতিতেই আমি দলের জন্য কাজ করেছি। টানা প্রায় ১১ বছর দল ক্ষমতায় থাকলেও কখনো লালসার বশঃবর্তী হয়ে কোন ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হইনি যার দরুন দল বা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হতে পারে। সততা ও নিষ্ঠার সাথে জীবন যাপন করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে দায়িত্ব দেন, তাহলে অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও আমি অবশ্যই এই পবিত্র দায়িত্ব সততার সাথে পালন করব ইনশাআল্লাহ।”