দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা : বুক বিল্ডিংয়ে যোগ্য নামের অযোগ্য বিনিয়োগকারীদের দ্ধারা কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর অতিমূল্যায়িত হওয়ার খেসারত দিতে হচ্ছে পুরো শেয়ারবাজারকে। একদিকে অতিমূল্যায়িত শেয়ারগুলো এখন ইস্যু মূল্যের নিচে নেমে আসায় বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অন্যদিকে একই কারনে ওই কোম্পানিগুলো থেকে লভ্যাংশ প্রাপ্তির হার হবে অনেক কম।

বুক বিল্ডিংয়ে অতিমূল্যায়িত কোম্পানিগুলোর পর্ষদ ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ব্যবসায় গড়ে ২.৮০ শতাংশ হারে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। যেখানে অভিহিত মূল্যে আসা কোম্পানিগুলোর পর্ষদ গড়ে ১৩.২৫ শতাংশ হারে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এছাড়া বুক বিল্ডিংয়ের কোম্পানিগুলোর থেকে ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিটে ২.৮০ শতাংশের থেকে বেশি হারে রিটার্ন পাওয়া যাবে।

শেয়ারবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ বিজনেস আওয়ারকে বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা একটি কোম্পানির শেয়ারের যোগ্য দর মূল্যায়ন করে। আর আমাদের দেশে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা করে অতিমূল্যায়ন। যে কারনে নির্ধারিত দর অনুযায়ি লভ্যাংশ পাওয়া যায় না। আসলে যাদেরকে আমরা যোগ্য বিনিয়োগকারী বলি, প্রকৃতপক্ষে তারা অযোগ্য।

২০১৬ সালে চালু হওয়ার পরে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ৬টি কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। যোগ্য বিনিয়োগকারীরা এই কোম্পানিগুলোর শেয়ার গড়ে ৬০.৬৭ টাকা কাট-অফ প্রাইস নির্ধারন করে। আর এই দরের বিপরীতে কোম্পানিগুলোর পর্ষদ ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ব্যবসায় গড়ে ২.৮০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

অপরদিকে ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত অভিহিত মূল্যে ২৬টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়েছে। এ কোম্পানিগুলোর পর্ষদ ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ব্যবসায় গড়ে ১৩.২৫ শতাংশ হারে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।