দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা : নবগঠিত সভাপতি কামরুল হাসান রিপনের ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে পেয়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। জানা যায়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন ১/১১-এর নেত্রী মুক্তি আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ছিলেন। তিনি একজন স্বচ্ছ রাজনৈতিক দর্শন আর ক্লিন ইমেজের কারণে রিপনকেই নিয়েই আলোচনা হচ্ছে সব থেকে বেশি। নেতাকর্মীদের ধারণা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রিপন হওয়ায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পেয়েছে। সংগঠন হয়েছে আগের তুলনায় অনেক শক্তিশালী।

পেয়েছে একজন ক্যারিম্যাটিক কর্মীবন্ধব নেতা ধারণা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের। সাবেক জনপ্রিয় ছাত্রনেতা মো: কামরূল হাসান রিপন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি। রিপন জগন্নাথের সভাপতি পদে থাকাকালে ২০০৩ থেকে নেত্রী ১/১১ মুক্তি আন্দোলন ও বিএনপি জামায়াত জোটের দু:শাসনের বিরুদ্ধে সংগঠিত আন্দোলন সংগ্রামের রাজপথের এক মহানায়ক।

এদিকে জানা যায়, কামরুল হাসান রিপন স্কুল জীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি থাকাকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভ্যান গার্ড হিসেবে কাজ করেন।

১/১১ এর নেত্রী মুক্তি আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ছিলেন রিপন। এই সময় যখন দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা দায়িত্বে থেকে কিছুটা পিছপা হচ্ছিলেন, তখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগকে সু-সংগঠিত করে শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনের গতিকে ত্বরান্বিত করেন রিপন। এছাড়াও তিনি দীর্ঘদিন কারাবরন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়েল ছাত্রনেতা থাকা অবস্থায় ২০০৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী বিরোধী দলের আমলে ছাত্রদল ও যুবদলের হামলায় গুরুতর আহত হন তিনি সহ তার অনুসারীরা।

এসময় সাবেক বিরোধী দলীয় নেত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নিতে পুরান ঢাকার সুমনা হাসপাতালে আসেন । এছাড়াও রিপন সাঈদ ২০০৩ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দায়িত্বে থাকাকালীন ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করেন। ক্যাম্পাস ও পুরাতন ঢাকাকে বিএনপি জামায়াতের অবৈধ হরতাল, অবরোধ, অগ্নি সন্ত্রাস, জ্বালাও পোড়ার আন্দোলন মোকাবেলায় রাজপথে সর্বদা সাহসী ভুমিকা পালন করেন।