দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ঘুরে ফিরে বাড়ছেই। সম্প্রতি প্রতিদিনই কোন না কোন কোম্পানির শেয়ারে একচেটিয়া প্রভাব ছিল। বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)  বীমা খাতের প্রভাব ছিল। ডিএসই বাজার বিশ্লেষণ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বীমা ব্যবসার প্রসার গ্রস প্রিমিয়ামের উপর নির্ভর করে। বীমা গ্রাহক বৃদ্ধি পেলে গ্রস প্রিমিয়াম বৃদ্ধি পায়। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) প্রতিবেদন অনুসারে, আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে দেশে বীমা গ্রহীতার হার বেড়েছে। ফলে বীমা ব্যবসার প্রসারও হয়েছে। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক বিভাগের কাছে পাঠানো বীমা খাতের অগ্রগতি ও সাফল্য প্রতিবেদন তুলে ধরে প্রতিষ্ঠানটি। ওই প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রাহকদের বীমা দাবির প্রেক্ষিতে নিষ্পত্তির হারও বেড়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বীমা দাবি নিষ্পত্তির হার সন্তোষজনক। কেননা অর্থের পরিমাণে তা বেড়েছে। বীমা শিল্পের অন্যতম দক্ষতার সূচক বীমা দাবি পরিশোধের হার।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ২৫ সাধারণ বীমা কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে। চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর,২০১৯)  এ আয় বেড়েছে। কোম্পানিগুলোর অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষনে এ চিত্র উঠে এসেছে।

অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৪৭ পয়সা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৮৩ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বও ২০১৯ এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৭ টাকা ২৩ পয়সা।

প্রথম তিন প্রান্তিকে এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৩৮ পয়সা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ২৮ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৩৫ পয়সায়।

এদিকে প্রথম তিন প্রান্তিকে অগ্রনী ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ২৪ পয়সা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৬ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৫১ পয়সা।

জানা যায়, হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৯৩ পয়সা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ৪৮ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর এ কোম্পানির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৪৫ পয়সা।

প্রথম তিন প্রান্তিকে সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৭৭ পয়সা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৭১ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ২৪ টাকা ৩০ পয়সা।

প্রথম তিন প্রান্তিকে সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস হয়েছে ৯৩ পয়সা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ৭৫ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর এর এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৯৫ পয়সায়।

এদিকে, হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৩২ পয়সায়। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ৮৮ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৮৯ পয়সা।
প্রথম তিন প্রান্তিকে ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৫৪ পয়সা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৪২ পয়সা। এ বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৮৭ পয়সা।

হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ১৫ পয়সা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৯৪ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৪২ টাকা ৬৬ পয়সা।

প্রথম তিন প্রান্তিকে ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৩১ পয়সা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ১০ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৯০ পয়সায়।

অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস হয়েছে ৫৪ পয়সা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ৪১ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ এ কোম্পানির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৪৭ পয়সা।

এদিকে, প্রথম তিন প্রান্তিকে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস হয়েছে ৬২ পয়সা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ৪৩ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর এর এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৮৯ পয়সা।

প্রথম তিন প্রান্তিকে ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১৫ পয়সা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৮ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৩২ পয়সা।

জানা গেছে, হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে জনতা ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস হয়েছে ৭৫ পয়সা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ৬৭ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বও ২০১৯ কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৮৯ পয়সা।

প্রথম তিন প্রান্তিকে কর্নফুলি ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস হয়েছে ৮২ পয়সা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ৮০ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বও ২০১৯ কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৯৩ পয়সা।

এদিকে, হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে নিটল ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৮ পয়সা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৯৪ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর এর এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৭৫ পয়সা।
প্রথম তিন প্রান্তিকে প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৫ পয়সা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ৬৬ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর এর এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৮২ পয়সা।

প্রথম তিন প্রান্তিকে পিপলস ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৬ পয়সা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ৮৮ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৬ টাকা ৩৪ পয়সা।

এদিকে, প্রথম তিন প্রান্তিকে প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৩৩ পয়সা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৯৭ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর এর এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৫৭ টাকা ৬৬ পয়সা।

হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস হয়েছে ৪৪ পয়সা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ১৫ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বও এ কোম্পানির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৩২ পয়সা।

এছাড়াও হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স, স্টান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে।